বিশ্ব বাণিজ্যের প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্বেও বাংলাদেশ রপ্তানিখাতে দৃঢ় অবস্থান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে -এমনটি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার বছরের প্রথম দিন, শুরু হলো মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। এটি বাণিজ্য মেলার ২৫তম আসর। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের অস্থায়ী মেলার মাঠ সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মেলার উদ্বোধন করেন।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইসিটি হবে ভবিষ্যতে সবচেয়ে বড় রপ্তানির ক্ষেত্র। দেশকে উন্নত করতে হলে উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে হবে। বিশ্ব বাণিজ্যের প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্বেও বাংলাদেশ রপ্তানিখাতে দৃঢ় অবস্থান বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শুধু একটি পণ্যের ওপর নির্ভর না থেকে রপ্তানীর জন্য নানাধরণের পণ্যে বাজার খোঁজার আহ্বান জানান তিনি। এসময় ২০২০ সালের জন্য লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যকে বর্ষ পণ্য হিসেবে ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বছর থেকে পূর্বাচলে বানিজ্য মেলা আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, বানিজ্য মেলায় টিকিটের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগে এক কাপ চা খেতেন তিন টাকায়, এখন পাঁচ টাকা লাগে। মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। এছাড়া মেলায় এবার স্টলের সংখ্যা কমেছে। রাজস্বের বিষয়টি মাথায় রেখে টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাণিজ্য মেলায় প্রবেশে এবার বাড়ানো হয়েছে টিকিটের দাম। প্রাপ্তবয়স্কদের টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা, যা গত বছর ছিল ৩০ টাকা। তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের টিকিটের মূল্য আগের মতোই ২০ টাকা রাখা হয়েছে।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মেলার পরিসর কমিয়ে আনা হয়েছে। গত বছর মোট ৬৩০টি ছোট-বড় স্টলের পরিবর্তে এবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪৮৩টি। এর মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভেলিয়ন ১১২টি, মিনি প্যাভেলিয়ন ১২৮টি এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল ২৪৩টি।