দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বুধবার থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
মঙ্গলবার সকালে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কম থাকলেও বুধবার থেকে খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, মাদারী পুর ও শরীয়তপরে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। তবে কুমিল্লা, নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর ও নারায়নগঞ্জ সহ সিলেট, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের অনেক জায়গায় বৃষ্টি ও ছোট আকারের কালবৈশাখী ঝড় অব্যাহত থাকবে। সেই সাথে বজ্রপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা বেড়েছে। বুধবার থেকে খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর সহ সারাদেশে বৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড় ও বিদ্যুৎ চমকানো সহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, সিলেট, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের অনেক জায়গায় বৃষ্টি ও ছোট আকারের কালবৈশাখী ঝড় অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া এবং বিদ্যুৎ চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ ও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গা ও সাতক্ষীরায় ৩৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে শ্রীমঙ্গল ২০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গলবার ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় দেশে সর্বোচ্চ নেকোনায় ৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় শ্রীমঙ্গলে ৫৮ মিলিমিটার ও চট্টগ্রামে ৫৬ মলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপ বিহার ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
ঢাকায় বুধবার সূর্যোদয় ভোর ৫টা ১৯ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬ টা ৩১ মিনিটে।
