• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

ভিডিওতে ধরা পড়া জাল ভোটের দৃশ্য

বিদেশ

রাশিয়ার নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৯ মার্চ ২০১৮

রুশ নির্বাচন কমিশন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হওয়ার দাবি তুললেও পশ্চিমা বিশ্ব বলছে ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, গতকাল রোববারের এই নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। এর স্বপক্ষে ভিডিও প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।

ওই ভিডিওচিত্রে পরিস্কার দেখা যাচ্ছে, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের কর্মীরা পুতিনের পক্ষে একের পর এক জাল ভোট দিচ্ছেন। স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘গোলোস’ও কারচুপি এবং অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে। তারা জানিয়েছে, ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই ব্যালট বাক্সে তারা ব্যালট দেখতে পেয়েছেন। কিছু কিছু কেন্দ্রে পর্যবেক্ষকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অনেক জায়গায় পুতিনকে ভোট দিতে ভোটারদের চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও অনেক কেন্দ্রে কারচুপিকে আড়াল করতে ওয়েবক্যামগুলো বেলুন এবং ব্যানার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও অনেক নির্বাচনী কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন যে, তাদেরকে নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয়নি।

তবে এসব অভিযোগের অস্বীকার করেছে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের প্রধান এলা পামফিলোভা বলেছেন, ‘বড় রকমের কোনো অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি। তবে কেউ এরকম করে থাকলে তাদেরকে ধরা হবে।’

এবারের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নানা কারণে বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং আলোচিত ছিল। কারণ, পুতিনবিহীন রাশিয়া দেখতে মরিয়া পশ্চিমা শাসকরা। কিন্তু এই নির্বাচনে পুতিনই ফের ক্ষমতায় আসবেন, এটা তাদের ভালো করেই জানা ছিল। যে কারণে পশ্চিমা মিডিয়া আগে থেকেই এই নির্বাচনকে ‘নিয়ম রক্ষার নির্বাচন’ বলে আখ্যায়িত করে আসছিল।

পুতিনকে নিয়ে পশ্চিমাদের মাথা ব্যথার কারণ, পুতিনের শাসনামলে রাশিয়া আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ওয়াশিংটনের চেয়ে মস্কোর নামই বেশি উচ্চারিত হয়। পুতিন একাধিক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দেখেছেন। তাদের চাল দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। পুতিন নিজেকে ও তার দেশকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছেন যাতে বিশেষ করে প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের ঘুম হারাম। যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছে, তাদের প্রধান হুমকি রাশিয়া।

যুক্তরাজ্যও রাশিয়াকে সবচেয়ে বড় হুমকি মনে করে। সম্প্রতি ব্রিটেনের অভ্যন্তরে স্বপক্ষত্যাগী চরকে হত্যার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের সার্বভৌমত্বকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়েছে মস্কো। এ নিয়ে দ্বি-পাক্ষিক টানাপোড়েন চলছে। যদিও রাশিয়া বরাবরই ওই অভিযোগ নাকচ করে এসেছে। বিশ্বে রাশিয়ার এই প্রভাব ধরে রাখতে পুতিনের বিকল্প আপাতত কাউকে দেখা যাচ্ছে না। যে করণে রাশিয়ানরা অবধারিতভাবেই পুতিনকে বেছে নিয়েছে।

তবে মূদ্রার উভয় পিঠের মতো পুতিনের ভালো-মন্দ দুটো দিকই আছে। মন্দ দিকটির কথা অবশ্য রাশিয়ার পুতিনবিরোধী এবং পশ্চিমা বলে থাকেন। তাদের দাবি, পুতিন তার বিরোধীদের শক্ত হাতে দমন করেছেন। এর মাধ্যমে রাশিয়ায় গণতন্ত্রের সমাধি রচিত হয়েছে। আর তাই এবার সবার দৃষ্টি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিবদ্ধ ছিল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads