• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

আব্বাসিকে তল্লাশির ঘটনায় ফুঁসছে পাকিস্তান

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৮ মার্চ ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উষ্ণ আলিঙ্গন ভাগ্যে জুটেছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কিন্তু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শহিদ খোকন আব্বাসির ক্ষেত্রে বিধি বাম। তার ভাগ্যে জুটল চরম হয়রানি! নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে জামা খুলিয়ে তাঁকে তল্লাশি করার ছবি ইতিমধ্যে ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেও যে ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে খুব একটা অনুশোচনা কাজ করছে তাও কিন্তু নয়। যে কারণে ক্ষোভে ফুঁসছে পাকিস্তান।

জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল গত সপ্তাহে। অসুস্থ বোনের সঙ্গে দেখা করার জন্য নিউ ইয়র্কে পা দিতেই তল্লাশির মুখে পড়েন পাক প্রধানমন্ত্রী। ভিডিওতে দেখা গেছে, যে কোট তিনি পরেছিলেন, সেটা হাতে ধরে রয়েছেন। তল্লাশিতে বিধ্বস্ত আব্বাসিকে এ সময় গায়ের টি শার্ট ঠিক করতেও দেখা যায়। তল্লাশি শেষে এক হাতে কোট, অন্য হাতে নিজের স্যুটকেস টানতে টানতে তিনি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যান।

গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ ইসলামাবাদ। তাদের অভিযোগ, রাষ্টপ্রধানদের কোনও সফরই ব্যক্তিগত নয়। কূটনীতিক পাসপোর্ট থাকা সত্ত্বেও তল্লাশি করে শুধু আব্বাসিকে নয় বরং পাকিস্তানকেও অপমান করেছে মার্কিন প্রশাসন।

এরআগেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে অনেককেই পড়তে হয়েছে এমন তল্লাশির মুখে। সেই তালিকায় অভিনেতা শাহরুখ খান থেকে শুরু করে অনেকেরই নাম রয়েছে। কিন্তু আব্বাসিতো একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী! কেন তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ? পাকিস্তানের প্রশ্নের জবাবে জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর বলছে, পুরো বিষয়টিই রুটিন তল্লাশি।

কিন্তু এই ঘটনায় অনেকেই ট্রাম্পের ‘পাক নীতির’ প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছেন। জঙ্গিদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে, ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের উপর একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তার উপর পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া নিয়ে আরও বিধিনিষেধ চাপানোর কথা ভাবা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, আব্বাসিকে তল্লাশির ঘটনায় আরও হুমকির মুখে পড়লো পাক-মার্কিন সম্পর্ক।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads