• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

সিরিয়ার ইস্যু

মিসাইল আসছে : ট্রাম্প

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১২ এপ্রিল ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হবে- প্রস্তুত থাকো। বুধবার এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, সিরিয়ার দিকে যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার অঙ্গীকার করেছে রাশিয়া। তাহলে এবার তুমি প্রস্তুত থাকো। সিরিয়ার দিকে ধেয়ে আসছে মিসাইল। রাসায়নিক দিয়ে মানুষ হত্যা করা পশুর সঙ্গে বন্ধুত্ব করা উচিত হয়নি তোমার। খবর বিবিসি ও আলজাজিরা।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার লেবাননে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার জাসিপকিন বলেন, সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, তাহলে তার দেশ সেটা প্রতিহত করবে। শুধু ভূপাতিতই নয়, যেখান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে সেখানেও হামলা চালাবে তারা। এর আগে মার্চে রুশ সেনাপ্রধান জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমোভ বলেছিলেন, সিরিয়ার দিকে ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র তারা প্রতিহত করবেন। যুক্তরাষ্ট্র যদি হামলা চালায় তাহলে সে দেশের বিরুদ্ধেও অবস্থান নেবে তারা। এরপর যু্ক্তরাষ্ট্রে পক্ষ থেকেও কড়া জবাব দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

টুইটারে ট্রাম্প লিখেছেন, সিরিয়ায় অমানবিক রাসায়নিক হামলায় নারী ও শিশুসহ বহু মানুষ নিহত হয়েছেন। সিরীয় সেনাবাহিনীর হাত অবরুদ্ধ এলাকায় এই নৃশংসতা চালানো হয়েছে। ফলে সেখানে বাইরের দুনিয়ার প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই। পশু বাশারের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে  রাশিয়া ও ইরান। তাদেরকে এজন্য চড়া মূল্য দিতে হবে। সিরিয়া ইস্যুতে অধিক গুরুত্ব দিতে পেরুতে অনুষ্ঠিতব্য লাতিন আমেরিকা সম্মেলনেও অংশ নিচ্ছেন না ট্রাম্প। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজ জানায়, এ মুহূর্তে সিরিয়া সঙ্কট নিয়ে গভীর মনোযোগ দিতে লাতিন আমেরিকা সম্মেলনে যাচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট।

সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার তদন্ত প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া নিরাপত্তা পরিষদে একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। উভয় দেশই হামলার অভিযোগ তদন্তে নিরাপত্তা পরিষদে নতুন একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠনের প্রস্তাব আনে। তবে তারা বিপরীত পক্ষের প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ায় তা ভেস্তে যায়। মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রস্তাব দুটির ওপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। রাশিয়ার আনা তৃতীয় একটি প্রস্তাবও এদিন আটকে যায়। তবে দৌমায় রাসায়নিক হামলার জবাবে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। পৃথক ফোনালাপে সিরিয়া ইস্যুতে কথা বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, থেরেসা মে ও ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। তিন নেতা দেশটির ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন।

তাদের মতে, সিরিয়া সরকারের রাসায়নিক হামলা খুবই নিন্দনীয়। ওই হামলায় রাসায়নিক ব্যবহারের বিষয়টি যদি নিশ্চিত হয় তাহলে তা হবে নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে বাশার সরকারের নিষ্ঠুরতার আরেকটি দলিল। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার না করার আইনি বাধ্যবাধকতার প্রতিও এটি অবজ্ঞাস্বরূপ। তিন নেতার ফোনালাপের পর মঙ্গলবার ব্রিটিশ সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত সিরিয়া ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করা।

দৌমায় রাসায়নিক হামলার ঘটনায় দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়েও একমত হন তারা। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপের আশঙ্কায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী। ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থানের সমালোচনা করেছে রাশিয়া ও ইরান। দেশ দুইটি বলছে, সিরিয়ায় হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্রকে ভয়াবহ পরিণতি বরণ করতে হবে। বিনা জবাবে তারা পার পাবে না।

ইতোমধ্যে সিরিয়ার সামরিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন স্থাপনায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাশার বাহিনী। আল মাসদার নামের সরকারপন্থি একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সাইপ্রাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ সিরিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে। এ খবরে কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার নৌবহরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের একটি মিসাইল ডেস্ট্রয়ারও সিরিয়ার উপকূলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, গত শনিবার সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহর দৌমাতে রাসায়নিক হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। যুক্তরাষ্ট্র ওই হামলার জন্য সিরিয়ার বাসার আল আল সরকারকে দায়ী করে। যদিও রাশিয়া ও সিরিয়া সরকারের মতে, বিদ্রোহীরাই এ হামলা চালিয়েছে।   

পাল্টা হামলা চালানো হবে : রাশিয়া

সিরিয়াকে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে, তা গুলি করে ভূপাতিত করা হবে। এ ছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের স্থানে পাল্টা হামলা চালানো হবে বলে জানিয়েছেন লেবাননে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দার জাসিপকিন। খবর বিবিসি।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হিজবুল্লাহ পরিচালিত লেবাননের আল মানার টেলিভিশনে তার এ মন্তব্য সম্প্রচারিত হয়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চিফ অব স্টাফের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো অবৈধ সামরিক অভিযান চালায় তাহলে তাদেরই এর  দায়িত্ব বহন করতে হবে বলেও সতর্ক করেছে রাশিয়া।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাসায়নিক হামলা নিয়ে এক বৈঠকে রাশিয়ার পক্ষ থেকে ওই সতর্ক বার্তাটি আসে বলে জানিয়েছে বিবিসি। বৈঠকে হামলা নিয়ে নতুন তদন্ত শুরু করার একটি প্রস্তাব রাশিয়ার ভেটোর কারণে বাতিল হয়ে যায়।  যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবটিতেও রাশিয়া ভেটো দিলে তাও বাতিল হয়। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীন ভোটদানে বিরত থাকে।

পূর্ব ঘৌতার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহর দৌমায় সন্দেহভাজন রাসায়নিক হামলাটি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকার চালিয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে তার স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছিল। দৌমায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহূত হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করতে শিগগিরই অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশন অব কেমিক্যাল উইপনের (ওপিসিডব্লিউ) একটি টিম মোতায়েন করা হচ্ছে। কিন্তু কারা এর জন্য দায়ী তা নির্ধারণ করবে না তারা।

নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সিরিয়ায় পশ্চিমা শক্তিগুলোর সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে ব্যাপক কথা চালাচালি হয়। প্রস্তাবকে ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক পদক্ষেপকে বৈধতা দেওয়ার অজুহাত খুঁজছে বলে অভিযোগ করেছেন রাশিয়ার দূত নিবয়েনজিয়া। দেশটিতে সামরিক হামলা হলে সবাই খুব দুঃখজনক ও গুরুতর ঘটনার মুখোমুখি হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি। অপরদিকে নিরাপত্তা পরিষদের ভোটকে হাস্যকর উল্লেখ করে রাশিয়া পরিষদের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ছাইভস্মে পরিণত করছে বলে অভিযোগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের দূত নিকি হ্যালি।

ইউরোকন্ট্রোলের সতর্কতা

সিরিয়ায় সম্ভাব্য বিমান হামলার আশঙ্কায় পূর্ব ভূমধ্যসাগরের উপরে আকাশসীমা ব্যবহারে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ইউরোকন্ট্রোল। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে প্যান-ইউরোপীয় এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এ কথা জানায়। খবর বিবিসি। 

ইউরোকন্ট্রোল জানিয়েছে, দুয়েক দিনের মধ্যেই আকাশ থেকে মাটিতে কিংবা সমুদ্রযান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হতে পারে। এ ছাড়া রেডিও চালনা যন্ত্রপাতিতে থেমে থেমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয়/নিকোশিয়া এফআইআর অঞ্চলে বিমানের ফ্লাইট চালানোর আগে ভালোভাবে ভেবেচিন্তে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায় ইউরোকন্ট্রোল। নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই সতর্কবার্তায় ঠিক কোন অঞ্চল থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হতে পারে, তা নির্দিষ্ট করে বলেনি সংস্থাটি।

এর আগেই যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো সিরিয়ার আকাশসীমা ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করেছিল। যাত্রীবাহী বিমানগুলোকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলারও পরামর্শ দেয়। এ সময়ের মধ্যে বুধবার জিএমটি ১টা ১৫ মিনিটে সিরিয়ান এয়ার ও মিডল ইস্ট এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী বিমান সিরিয়ার আকাশে থাকবে বলে ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার টুয়েন্টিফোর জানিয়েছে।

ইউরোকন্ট্রোলের বিবৃতিতে দামেস্কের নিয়ন্ত্রণে থাকা আকাশসীমার বাইরেও বিস্তৃত এলাকার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়। মঙ্গলবারের বিবৃতিতে সংস্থাটি নিকোসিয়া এফআইআর নামে যে এলাকাকে চিহ্নিত করেছে তার মধ্যে সাইপ্রাস দ্বীপ এবং সংলগ্ন জলসীমাও আছে বলে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে দেওয়া মানচিত্রে দেখা গেছে। একই মানচিত্রে পূর্ব ভূমধ্যসাগর এলাকাকে চিহ্নিত করা যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষিপ্ত একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের ওপর দিয়ে যাওয়া মালয়েশীয় এয়ারলাইনসের এমএইচ-১৭ বিমানকে ভূপাতিত করে। এতে বিমানটিতে থাকা ২৯৮ যাত্রীর সবাই মারা যান। ওই ঘটনার পর থেকে বিমান পরিবহনকারী সংস্থা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের ওপর দিয়ে যাত্রীবাহী বিমান চলাচলে ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্কতা জারি করে আসছে। গত বছর কোরীয় উপদ্বীপে আগাম জানান না দিয়েই উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণেও অনেক এয়ারলাইনস জাপান সাগর এড়িয়ে অন্য দিক দিয়ে গন্তব্যে যায়।

অংশ নিতে পারে সৌদি

দৌমায় রাসায়নিক হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হলে তাতে সৌদি আরব যোগ দিতে পারে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্যারিসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। খবর বিবিসি। 

খবরে বলা হয়, হামলা ইস্যুতে পশ্চিমা শক্তিগুলো শিগগিরই সামরিক পদক্ষেপ নেবে। এ সম্পর্কে যুবরাজ মোহাম্মদ বলেন, জোটের অংশীদাররা যদি প্রয়োজন মনে করে, তাহলে আমরাও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হব। এর আগে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবেইর বলেছিলেন, সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি করতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে তা নিয়ে অনেকগুলো দেশই পরামর্শ করছে। আমাদের কথা হচ্ছে, যারা এর জন্য দায়ী তাদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। সেসময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলে সৌদি আরব এ ধরনের পদক্ষেপের অংশ হবে কি না। তিনি তখন জবাব এড়িয়ে যান। 

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে পূর্ব ঘৌতার দৌমায় গত শনিবার রাসায়নিক হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিদ্রোহীগোষ্ঠী জইশ আল-ইসলাম ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা জানায়, এ হামলায় অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে আদৌ এ ধরনের কোনো হামলা হয়েছে কি না, হয়ে থাকলে কারা চালিয়েছে, এসব বিষয় এখনো কেউ নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে হামলার প্রতিক্রিয়ায় জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিরিয়ার বিরুদ্ধে বেছে নেওয়ার মতো অনেক বিকল্প যুক্তরাষ্ট্রের আছে- ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা শক্তিগুলো শিগগিরই দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে এমন ধারণা তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads