• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

যুদ্ধবাজ বোল্টনের পরীক্ষা সিরিয়া

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১২ এপ্রিল ২০১৮

সিরিয়ার দৌমা শহরে রাসায়নিক হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাশার প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখানোর হুমকি দিয়েছেন। ট্রাম্পের এমন হুমকির পেছনে আছেন তার সম্প্রতি নিয়োগ দেওয়া জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। দ্য গার্ডিয়ানের মতে, বোল্টনের সাদা গোঁফ আমেরিকার আসন্ন যুদ্ধের জানান দিচ্ছে।

সাবেক বুশ প্রশাসনের সময় আফগানিস্তান ও ইরাকে যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল বোল্টনের হাত ধরে। তাই ট্রাম্প প্রশাসনে বোল্টনের উপস্থিতিকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। জাতীয় নিরাপত্তা হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার প্রথম দিনেই সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ প্রশ্নে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বোল্টন। গত সোমবার সন্ধ্যায় ট্রাম্পের উপস্থিতিতেই বোল্টন যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেলদের সঙ্গে বসেন। সাবেক ওবামা প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল সদস্য জুলিয়ান স্মিথ বলেন, ‘সামরিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে বোল্টন বিন্দুমাত্র লজ্জা করবেন না। প্রশ্ন হলো, তিনি প্রেসিডেন্টকে যুদ্ধে নামতে কতটা চাপ প্রয়োগ করবেন, যেখানে সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়া-ইরান ইট মারলে পাটকেল ছোড়ার অবস্থায় রয়েছে। তার ও ট্রাম্পের কোনো রাজনৈতিক পরিকল্পনা নেই। সেক্ষেত্রে সিরিয়া ইস্যুতে তারা কী করতে পারে।’

সিরিয়ার বাইরেও উত্তর কোরিয়া এবং ইরান ইস্যুতে বোল্টন প্রভাব বিস্তার করতে পারে ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর। কারণ এর আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিকভাবে সমঝোতা করেছে এমন অভিযোগও তিনিই তুলেছিলেন। আশ্চর্যের বিষয় হলো, ২০১৫ সালে বোল্টন পরমাণু চুক্তি নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, সেই একই পথে হয়তো এক মাস পরেই হাঁটবেন ট্রাম্প। বিশ্লেষকদের মতে, উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে ট্রাম্পের চেয়ে আগ্রাসী বোল্টন। ট্রাম্প ইতোমধ্যেই কিছুটা সমঝোতার সুরে কথা বলছেন। হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেমস ক্যারাফানোর মতে, এইচ আর ম্যাকমাস্টারের মতো ভুল করবেন না বোল্টন। তার চরিত্র অনেকটা মাফিয়া গডফাদারের মতো।

দ্বন্দ্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি আর প্রশাসনের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য বোল্টন আগে থেকেই পরিচিত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষের সাবেক সিনিয়র কর্মকর্তা এবং বর্তমান আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান থমাস কান্ট্রিম্যান বলেন, বুশ প্রশাসনে বোল্টনের ভূমিকা ব্যাপক প্রশ্নের সৃষ্টি করেছিল। নিজের এখতিয়ারবহির্ভূত সিদ্ধান্তের ফলে পররাষ্ট্রনীতির অনেক ক্ষতিসাধন করেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads