• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

মা-বাবার মৃত্যু ৪ বছর পর সন্তানের জন্ম

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৩ এপ্রিল ২০১৮

চীনে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-বাবার মৃত্যুর চার বছর পর তাদের সন্তানের জন্ম হয়েছে। বিবিসির খবরে বলা হয়, ২০১৩ সালে এক দুর্ঘটনায় নিহত হন শিশুটির বাবা-মা। তারা আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তান গ্রহণের উদ্দেশ্যে আগে থেকেই নিজেদের বেশ কয়েকটি ভ্রূণ হাসপাতালের হিমাগারে সংরক্ষিত রেখেছিলেন। সেখান থেকেই শিশুটির জন্ম হলো।

বেইজিং নিউজের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ওই চীনা দম্পতির ভ্রূণ চীনের নানজিং হাসপাতালের একটি তরল নাইট্রোজেন ট্যাঙ্কে মাইনাস ১৯৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষিত ছিল। দেশটিতে বাবা-মা ব্যতীত ভ্রূণের অভিভাবকত্বের সুস্পষ্ট বিধিবিধান না থাকায় মৃত দম্পতির মা-বাবাকে সারোগেসি পদ্ধতি নিয়ে ব্যাপক আইনি ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর দাদা-দাদি ও নানা-নানিকে ভ্রূণের অধিকার দেন চীনা আদালত।

মৃত দম্পতির পিতা-মাতা হিমায়িত ভ্রূণের অধিকার পাওয়ার পর দেখা দেয় নতুন জটিলতা। গর্ভে অসংযোজিত ভ্রূণ নিয়ে আইনি অনিশ্চয়তা থাকায় চীনের অন্য হাসপাতাল ও মেডিকেল এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে রাজি হয়নি। চীনে সারোগেসি পদ্ধতি অবৈধ হওয়ায় একমাত্র উপায় ছিল দেশের বাইরে বিকল্প খোঁজা। এ সময় সারোগেসি পদ্ধতিতে নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিশুটির অভিভাবকরা। তাদের মাধ্যমে লাওসে বৈধভাবে সারোগেসির জন্য এক নারীকে খুঁজে পাওয়া গেলেও ঝামেলা দেখা দেয়, কোনো বিমান সংস্থা তরল নাইট্রোজেনের তাপানুকূল বাক্স লাওসে নিয়ে যেতে রাজি হচ্ছিল না। পরে ঝুঁকি নিয়ে গাড়িতে করে ভ্রূণটি লাওসে পৌঁছানো হয়।

ভবিষ্যতে নাগরিকত্ব নিয়ে যেন কোনো সমস্যা না হয়, সে উদ্দেশ্যে সন্তান জন্মদানের আগেই ভ্রমণ ভিসায় ওই সারোগেট মাকে চীনে নিয়ে আসা হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনেই শিশুটির জন্ম দেন ওই মা। নবজাতকের নাম রাখা হয় তিয়ানতিয়ান। বাবা-মা কেউ বেঁচে না থাকায় দাদা-দাদি ও নানা-নানি, এ চারজনের ডিএনএ ম্যাচিংয়ের মাধ্যমে শিশুটির চীনা নাগরিকত্বও নিশ্চিত করা হয়।

 

 

 

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads