• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

পশ্চিমা জোটের হস্তক্ষেপকে ‘সামরিক আগ্রাসন’ বললেন পুতিন

সিরিয়ায় বিমান হামলা

  • প্রকাশিত ১৫ এপ্রিল ২০১৮

সিরিয়া নিয়ে ফের মুখোমুখি যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া। শনিবার ভোর রাতে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক এবং তার আশপাশের এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট। ওয়াশিংটনের দাবি, বেছে বেছে আসাদ সরকারের রাসায়নিক অস্ত্রের কেন্দ্রগুলিতেই হামলা চালানো হয়েছে।

কিন্তু এই দাবি মানতে নারাজ সিরিয়ার দীর্ঘদিনের বন্ধু দেশ রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা জোটের হামলার বিষয়টিকে ‘সামরিক আগ্রাসন’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এই হামলা সিরিয়ার মানবিক সঙ্কট বাড়াবে ছাড়া কমাবে না।

গত সপ্তাহে সিরিয়ার দুমা শহরে রাসায়নিক হামলায় মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৮০ জনের। অভিযোগ, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনীই এই হামলার নেপথ্যে ছিল। তারপর থেকেই সিরিয়ার বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালানোর কথা বলে আসছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার রাতে ঠিক সেটাই করে দেখালো মার্কিন বাহিনী। এর আগে জাতিসংঘে আমেরিকার দূত নিকি হ্যালিও সিরিয়ায় রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে মস্কোকে এক হাত নিয়েছিলেন। রুশ সংবাদমাধ্যম তখন জানিয়েছিল, সিরিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়ার মধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধও লেগে যেতে পারে। রোববার অবশ্য পুতিন কড়া ভাষায় যুক্তরাষ্ট্র আর পশ্চিমা দেশগুলির আগ্রাসনের নিন্দা করলেও সরাসরি কোনো সংঘাতের আভাস দেননি।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে তার প্রতিনিধি বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট কড়া বার্তা দিয়েছেন। শনিবারের হামলার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত আনাতলি আন্তোনভ একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘আরও একবার আমাদের ভয় দেখানো হল। আমরা সতর্ক করছি, এই হামলার ফল ভয়ঙ্কর হবে। তার দায় সম্পূর্ণ ভাবে পড়বে ওয়াশিংটন, লন্ডন আর প্যারিসের ওপরে।’ তবে একই সঙ্গে রাশিয়ার দাবি, সিরিয়ায় তাদের সামরিক ঘাঁটিগুলি এই হামলায় অক্ষত রয়েছে।

পুতিন অবশ্য জানিয়েছেন, তারা খুব শীঘ্রই এ নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি বৈঠক ডাকার দাবি জানাবেন। তার দাবি, দুমা শহরে আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে রাসায়নিক হামলার যে অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্র এনেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। রুশ বিশেষজ্ঞ বাহিনী গিয়ে ওই এলাকায় কোনো রাসায়নিক অস্ত্রের অস্তিত্ব পায়নি।

মার্কিন বাহিনীর হামলা নিয়ে মুখ খুলেছে আসাদ সরকারও। সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হয়েছে, মার্কিন-ব্রিটিশ-ফরাসি বাহিনীর এই সম্মিলিত হামলার কড়া নিন্দা জানায় সিরিয়ার সরকার। সিরিয়ায় এখন তদন্ত শুরু করতে চলেছে ‘অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রোহিবিশন অব কেমিক্যাল ওয়েপনস’ (ওপিসিডব্লিইউ)। সিরিয়া সরকারের অভিযোগ, সেই তদন্ত বানচাল করতেই ঠিক এই সময়ে পরিকল্পনা করে এই হামলা চালিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন হামলার নিন্দা করেছে ইরান সরকারও। তাদের নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনির বক্তব্য, ‘সিরিয়ার বিরুদ্ধে এই হামলা আসলে অপরাধ।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads