• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

সিরিয়ায় ইরানের অস্ত্র চালানে চিন্তিত যুক্তরাষ্ট্র

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৬ এপ্রিল ২০১৮

ইরান থেকে সিরিয়ায় বিমানযোগে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে বলে সন্দেহ করছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা। বাশার আল আসাদ প্রশাসন কিংবা সিরিয়ায় অবস্থানরত ইরানের সেনাবাহিনীর ব্যবহারের জন্য এই অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিএনএন। ট্রাম্প প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বিমানযোগে অস্ত্র চালানের সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল উভয়েই চিন্তিত বলেও জানান।

তবে সিরিয়ায় অস্ত্র চালান পাঠানো নতুন কিছু না হলেও এপ্রিলের ১৩ তারিখ দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্র জোটের বিমান হামলার পর বিষয়টি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। উভয় পক্ষই ভাবছে ইরান হয়তো সিরিয়ায় বিমানবিধ্বংসী মিসাইল উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা অথবা ইসরাইলকে উদ্দেশ করে ক্ষেপণাস্ত্র সাইট মোতায়েন করতে যাচ্ছে।

জানা যায়, চলতি সপ্তাহে ইরান এবং সিরিয়ার মধ্যে অন্তত দুটি ফ্লাইট চলাচল করেছে। এই দুই ফ্লাইটের মধ্যে একটি সিরিয়ার এয়ার ফোর্সের আইএল-৭৬ কার্গো জেট। এই কার্গো বিমানটিই যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বলে জানা যায়। কার্গোতে করে অন্যান্য অস্ত্রের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রও আনা হয়েছে বলে ধারণা গোয়েন্দা সংস্থার।

চলতি মাসের গোড়ার দিকে ইসরাইলি বিমান বাহিনী সিরিয়ায় বেশ কয়েকবার হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার ধারণা বিমানবিধ্বংসী মিসাইল দিয়ে হয়তো ইসরাইলের বিমান ধ্বংস করা হতে পারে। কারণ সম্প্রতি ইরানের নিরাপত্তা সংস্থার একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, সিরিয়ার হোমসে ইরানের টি ফোর বিমানঘাঁটিতে হামলার জন্য ইসরাইলকে শাস্তি দেওয়া হবে। ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মন্ত্রী আলী শামখানি বলেছিলেন, ‘ইসরাইল এখনো টের পায়নি যে হামলা চালিয়ে চলে যাওয়ার দিন শেষ। তাদের অবশ্যই ওই হামলার মূল্য চোকাতে হবে।’ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দাবি করা হয়েছিল, ইসরাইলের এফ-১৫ যুদ্ধবিমান থেকে সিরিয়ায় লেবানিজ বিমানঘাঁটিতে আটটি মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে। ওই হামলায় ইরানের বেশ কয়েকজন সেনা উপদেষ্টা নিহত হয়। যদিও এখন পর্যন্ত ওই হামলা নিয়ে মুখ খোলেনি নেতানিয়াহু সরকার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads