• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রাড

ফাইল ফটো

বিদেশ

ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রাডের পদত্যাগ

  • প্রকাশিত ৩০ এপ্রিল ২০১৮

যুক্তরাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসা কিছু ক্যারিবীয় অভিবাসীকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করেছিলেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাম্বার রাড। আর এই কেলেঙ্কারির জেরেই শেষমেষ পদত্যাগ করলেন তিনি।  রোববার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে বরাবর পদত্যাগ পত্র পাঠান রাড। তাতে লেখেন, তিনি অবৈধ অভিবাসীদের সরানোর বিষয়ে ‘অসাবধানতাবশত’ পার্লামেন্ট সদস্যদের ‘ভুল পথে’ চালিত করেছেন। বার্তা সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মে তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছেন।

রাডের পদত্যাগের আগে কথিত ‘উয়িন্ডরাশ জেনারেশনের’ কিছু উত্তরসূরীকে কেন তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে এটি ব্যাখ্যা করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ব্রিটিশ মন্ত্রীরা।

শ্রমিক ঘাটতি পূরণের উদ্দেশ্যে ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কমনওয়েলথ দেশগুলো থেকে যাদের ব্রিটেনে নিয়ে আসা হয়েছিল তাদের উত্তরসূরীদেরই ‘উয়িন্ডরাশ জেনারেশন’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যদের ৫৪ বছর বয়সী রাড বুধবার এ বিষয়ে প্রশ্নের মুখে  বলেছিলেন, অভিবাসীদের সরানোর কোনো লক্ষ্য ব্রিটেনের নেই। কিন্তু এ ধরনের লক্ষ্য ব্রিটেনের আছে, ফাঁস হওয়া নথিতে এটি প্রকাশ পাওয়ার পর পার্লামেন্ট সদস্যরা রাডকে তার বক্তব্য স্পষ্ট করার জন্য চাপ দেন।

বিরোধী দল লেবার পার্টি বারবার রাডের পদত্যাগের দাবি জানাতে থাকে। দলটি ‘উয়িন্ডরাশ’ কেলেঙ্কারারি জন্য মে-কেও দায়ী করে এবং সরকারের অভিবাসন নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিজের অবস্থানও ব্যাখ্যা করার দাবি জানায়।

এ পরিস্থিতিতে ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী মে-কে লেখা রাডের একটি চিঠি রোববার প্রকাশ করে গার্ডিয়ান। এতে দেখা যায় রাড অভিবাসীদের জোর করে বিতাড়ণের  প্রক্রিয়া গতিশীল করার ‘লক্ষ্য’ নির্ধারণ করেছেন।

অভিবাসীদের বিতাড়ণের বিষয়ে নিজের বক্তব্য একের পর এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার পর রোববার প্রধানমন্ত্রী মেকে ফোন করে রাড পদত্যাগ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তার পদত্যাগের প্রস্তাবে সম্মতি দেন মে। ২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন রাড। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads