• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

হোমসের সর্বশেষ ঘাঁটি ছাড়বে বিদ্রোহীরা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৫ মে ২০১৮

সিরিয়ার হোমস শহরে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সর্বশেষ ঘাঁটি ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছে বিদ্রোহীরা। বৃহস্পতিবার তারা সরকারি বাহিনী ও এর মিত্রদের সঙ্গে এ বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছে। সে অনুযায়ী, আগামীকাল রোববারের মধ্যে বিদ্রোহীরা হোমসের হাওলা, রাস্তা ও তালবিসেহ শহরতলি ছেড়ে উত্তরাঞ্চলে চলে যাবে। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।

খবরে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরেই বিদ্রোহীদের ওপর সর্বাত্মক অভিযান চালাচ্ছে সরকারি বাহিনী ও এর মিত্ররা। অব্যাহত বিমান হামলায় কোণঠাসা হয়ে পড়ে বিদ্রোহীরা। পর্যায়ক্রমে শহরগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে শুরু করে সরকারি বাহিনী। কয়েক সপ্তাহ ধরেই দেশের অন্যতম প্রধান শহর হোমসে অভিযান চালাচ্ছে সরকারি বাহিনী। সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলে বিদ্রোহীরা। কিন্তু হামলার মুখে সেখান থেকেও পিছু হটতে বাধ্য হলো তারা।

সিরিয়ার আল ইখবারিয়া টিভি চ্যানেলের খবরে বলা হয়েছে, সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে বিদ্রোহীরা। এতে তাদের শহর ছেড়ে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তরাঞ্চলে চলে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। বিদ্রোহীরা ইতোমধ্যে তাদের অস্ত্র জমা দিতে শুরু করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আজ শনিবার থেকে তারা বাসে চড়ে শহর ত্যাগ করা শুরু করবেন।

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম সানা’র খবরে বলা হয়, ব্যাবিলা, ইয়াল্ডা ও বেইত সাহাম শহরে অনেক খালি বাস প্রবেশ করেছে। এগুলোতে চড়ে বিদ্রোহী ও তাদের সাহায্যকারী বেসামরিক নাগরিকরা উত্তর সিরিয়ায় চলে যাবেন। পাঁচ হাজারের মতো বিদ্রোহী ও তাদের পরিবার হোমস ত্যাগ করবেন। খবরে বিদ্রোহীদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেওয়া হয়।

এর আগে রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে সবচেয়ে বড় শহর ইস্টার্ন ঘৌটা থেকে বিদ্রোহীদের উৎখাত করে সরকারি বাহিনী। সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহীদের এই দ্বন্দ্ব ১৫ মার্চ তারিখে অষ্টম বর্ষে পদার্পণ করেছে। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে সিরিয়ার প্রায় সব শহরই ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে। নিহত হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। আর প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি জমিয়েছে ৬০ লাখেরও বেশি বেসামরিক অধিবাসী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads