• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

প্রধানমন্ত্রী আহমেদ ওবায়েদ বিন দাঘরসহ দশ মন্ত্রী অবরুদ্ধ

আমিরাতের দখলে ইয়েমেনের গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপ সোকোত্রা 

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৬ মে ২০১৮

ইয়েমেনের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ ওবায়েদ বিন দাঘরসহ দশ মন্ত্রীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে আরব আমিরাতের সেনারা। শুক্রবার দেশটির কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপ সোকোত্রার দখল নেওয়ার পর আমিরাতের সেনারা তাদের সেখান থেকে আর বের হতে দেয়নি। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইয়েমেনের এক কর্মকর্তা বলেন, বৃহস্পতিবার দ্বীপটিতে সফরে যান প্রধানমন্ত্রী।  যাওয়ার পর শুক্রবার বের হতে চাইলেও কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে বের হতে দেওয়া হয়নি। আমিরাতের এ পদক্ষেপকে আগ্রাসন হিসেবে উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, ইয়েমেনে সরকার থাকা সত্ত্বেও সোকোত্রা দ্বীপের সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর দখল করেছে আরব আমিরাত।

চারটি সামরিক বাহন ও শতাধিক সৈন্য মোতায়েনের একদিন পর স্থানীয় সময় শুক্রবার দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নিল আমিরাত।  ইয়েমেনের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নায়েফ আল বাকরি তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, ইয়েমেনি জনগণ তাদের ভূমি রক্ষা করবে। দ্বীপ এবং উপকূলের একবিন্দু বালু সমর্পণ করা হবে না। সেখানে মধ্যস্থতা করতে শুক্রবারই কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে সৌদি আরব।

সোমালিল্যান্ড উপকূলের কাছে অবস্থিত সোকোত্রা দ্বীপ ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্য। দ্বীপটিতে প্রায় ৬০ হাজার মানুষের বসবাস। এখানে যুদ্ধবিমান ও বড় সামরিক যান চলাচলের মতো তিন হাজার মিটার দীর্ঘ রানওয়ে রয়েছে। সোমালিল্যান্ডে একটি বাণিজ্যিক বন্দর স্থাপনে বিপুল বিনিয়োগের পর সম্প্রতি আমিরাত দাবি করে, তারা ৯৯ বছরের জন্য দ্বীপটি লিজ নিয়েছে। এরপর সেখানে সামরিক কার্যক্রম চালানোর ঘোষণা দেয় দেশটি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদ-রাবু মনসুর আল হাদি আমিরাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আদেন প্রদেশের গভর্নর আদারাস আল জোবাইদিকে বরখাস্ত করেন। চলতি বছরের মার্চে সৌদি আরবে নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট আল হাদির কাছে পাঠানো এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয় আমিরাত সোকোত্রার সম্পদ ও দ্বীপটির দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে।

বৃহস্পতিবার আমিরাতের সৈন্যরা সোকোত্রা দ্বীপে পৌঁছানোর দিনই কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপটিতে যান প্রধানমন্ত্রী আহমেদ। সেখানে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান হাজার হাজার দ্বীপবাসী। দ্বীপে আমিরাতে উপস্থিতির নিন্দা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট আল হাদি ও অবিভক্ত ইয়েমেনের সমর্থনে স্লোগান দেন তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতেও স্থানীয়দের স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

স্বেচ্ছা নির্বাসিত প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতায় বসাতে গত তিন বছর ধরে হুথি বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। ওই জোটের অন্যতম সহযোগী আমিরাত। ইরান হুথিদের সমর্থন দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে দক্ষিণ ইয়েমেনে প্রভাব বিস্তারের জেরে হাদি ও আরব আমিরাতের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরেছে। আমিরাত দখলদারের মতো আচরণ করছে বলে অতীতে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads