• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সংরক্ষিত ছবি

বিদেশ

ট্রাম্পেই আস্থা যুক্তরাষ্ট্রবাসীর

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১২ মে ২০১৮

ইরান চুক্তি থেকে সরে এসে দেশটির ওপর নতুন করে অবরোধ জারিকে রাজনৈতিক জয় হিসেবে দেখছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অনেক লড়াইয়ের পরও বহির্বিশ্বের রাজনীতিতে আমেরিকা প্রথম স্থানে আছে বলে বৃহস্পতিবার এক র্যালিতে মন্তব্য করেছেন তিনি।

মিডিয়া সিএনএনের মতে, পররাষ্ট্রনীতি প্রশ্নে কিছু দুর্বল সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও নিজ দেশের রাজনীতিতে শক্তিশালী অবস্থানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি প্রেসিডেন্ট তার রাজনৈতিক অস্থিরতার তত্ত্ব দেশের সীমানার বাইরে ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন বলেও প্রতিবেদনে উঠে আসে। বিশ্লেষকদের মতে, প্রেসিডেন্ট বোঝাতে চাইছেন তিনিই যুক্তরাষ্ট্রকে আবারো মহান করেছেন। আর এই মহান হিসেবে দেখানোর পেছনের উদ্দেশ্য আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের পরাজয় ঠেকানো।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা ক্রমশ ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। ইরান চুক্তি থেকে সরে আসার কারণে ইতোমধ্যে ফ্রান্স এবং জার্মানি যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছে। ইরান চুক্তি থেকে সরে আসা ছাড়াও চীনের বিরুদ্ধে অসম বাণিজ্য যুদ্ধে নেমেছেন ট্রাম্প। এ ছাড়া আগামী সপ্তাহে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তেই ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সরিয়ে জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে এমন সিদ্ধান্তের ফলে মধ্যপ্রাচ্যের একাংশে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ডেভিড জার্গেন বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) যে সব জায়গায় এবং সবার সঙ্গে মাস্তানের মতো আচরণ করেন, তা সম্প্রতি ইউরোপিয়ানরা বুঝতে পেরেছে তার ইরান চুক্তি থেকে সরে আসার পর। তিনি এখন চীন এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মাস্তানি করতে চাইছেন। এটা আধিপত্যবাদী প্যাটার্ন।’

বিশ্লেষক এবং সমালোচকরা যাই বলুক না কেন ট্রাম্পের সমর্থকরা কিন্তু প্রেসিডেন্টকে বেশ বাহবাই দিচ্ছেন। রিপাবলিকান শিবিরের অনেক সমর্থকের মতে, ট্রাম্পই আমেরিকার সবচেয়ে যোগ্য প্রেসিডেন্ট। ইন্ডিয়ানায় র্যালির আগে উত্তর কোরিয়া থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত তিন নাগরিকের সঙ্গে দেখা করেন ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়ার এই বন্দি মুক্তি দেওয়াকে ট্রাম্প তার বিশাল সাফল্য হিসেবে দেখছেন এবং সবকিছুর জন্য ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে ‘হিরো’ বলেন তিনি।

আগামী ১২ জুন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠকে বসবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অনেক জল্পনা কল্পনার পর সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হবে এই বৈঠক। বিশ্লেষকদের মতে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় ট্রাম্প কূটনৈতিকভাবে সফল হতে পারলে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টদের তুলনায় এগিয়ে যাবেন তিনি। সিএনএনের এক জরিপে দেখা যায়, বছরেও যুক্তরাষ্ট্রের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জনগণ বিশ্বাস করতেন উত্তর কোরিয়াকে বোমা মেরে মানচিত্র থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু ট্রাম্প উত্তর কোরিয়া প্রশ্নে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করলে বর্তমানে দেশটির ৭৭ শতাংশ প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।

ট্রাম্পকে আগামী মাস নাগাদ আরো অনেক ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাবে। ডেমোক্র্যাটদের বিরোধিতা করে ওই র্যালি থেকে রিপাবলিকানরা হউস এবং সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে চেষ্টা করবে। কারণ আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচন রিপাবলিকান শিবিরের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্চ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ইতোমধ্যে রয়টার্সের এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকরা রিপাবলিকান শিবির ছেড়ে ডেমোক্র্যাট শিবিরের দিকে ঝুঁকছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads