• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
 ইরান চুক্তি রক্ষায় আলোচনায়  বসবে ইউরোপ চীন ও রাশিয়া

আলোচনায় বসবে ইউরোপ চীন ও রাশিয়া

ইন্টারনেট

বিদেশ

ইরান চুক্তি রক্ষায় আলোচনায় বসবে ইউরোপ চীন ও রাশিয়া

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২১ মে ২০১৮

ইরান চুক্তি রক্ষায় চলতি সপ্তাহে ভিয়েনায় এক বৈঠকে মিলিত হচ্ছে জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, রাশিয়া ও চীন। তবে এই বৈঠকে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল রোববার জার্মান সংবাদপত্র ওয়েল্ট এম সান্তাগে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। এদিকে ইরান বলেছে, ইউরোপীয় পক্ষগুলো যদি পরমাণু চুক্তি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম ২০ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হবে। গত শনিবার দেশটির অ্যাটমিক এনার্জি অর্গানাইজেশনের প্রধান এ কথা বলেন। খবর বিবিসি ও ডয়েচে ভেলে।

অ্যাটমিক এনার্জি অর্গানাইজেশনের প্রধান আলী আকবার সালেহী বলেন, যদি অন্য পক্ষগুলো নিজেদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে তাহলে আমরাও আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করব। আমরা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি বুঝে পদক্ষেপ গ্রহণ করব। এখানে সব ধরনের সম্ভাবনাই রয়েছে। আমরা সমৃদ্ধকরণ ২০ শতাংশ বাড়ানো শুরু করতে পারি।

ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। কিন্তু চুক্তিতে স্বাক্ষর করা অন্য দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের একক সিদ্ধান্ত মানবে না বলে জানায়। চুক্তি বাতিল হলে ইরান পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধকরণ শুরু করতে পারে- এ আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তা বাঁচানোর চেষ্টা করছে। তবে এ বৈঠকে ইরান অংশ নিবে কি না সে বিষয়ে সুস্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি প্রতিবেদনে।

এ ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ইরানের প্রভাব বিস্তার ও দেশটির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির লাগাম টেনে ধরার বিনিময়ে দেশটিকে অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়ার একটি প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা করছে ইউরোপ, চীন ও রুশ কূটনীতিকরা। পারমাণবিক চুক্তি অক্ষুণ্ন রেখে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন রোধে নতুন একটি চুক্তি করা গেলে দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে ট্রাম্পকে রাজি করানো যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে বিভিন্ন সময় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সীমিত করার আহ্বান জানানো হলেও তার বিরুদ্ধতা করেছিল ইরান। গত শনিবার ইইউয়ের জ্বালানিবিষয়ক প্রধান ইরানকে আশ্বস্ত করে জানান, ২৮ সদস্যের ইইউ জোট পারমাণবিক চুক্তি রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ ছাড়া তারা তেহরানের সঙ্গে বাণিজ্য জোরদার করবে। ইইউ, জার্মানি ও অন্যান্য দেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পারমাণবিক চুক্তি রক্ষায় ইইউয়ের উদ্যোগ ব্যর্থ হলে পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ।

পারমাণবিক চুক্তির বদলে অর্থনৈতিক সুবিধা অর্জনে ইরানকে ব্যাপক সংগ্রাম করতে হচ্ছে। দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা নিষেধাজ্ঞার কারণে বৃহৎ পশ্চিমা বিনিয়োগকারীরা বাধ্য হচ্ছে তেহরানের সঙ্গে ব্যবসা করা থেকে বিরত থাকতে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা যদি বজায় থাকে তাহলে ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে তেহরানের সঙ্গে ব্যবসা করা কঠিন হবে। নতুন প্রস্তাবের মাধ্যমে কর্মকর্তারা ইরানের কাছে এটিই তুলে ধরতে চাইছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির লাগাম টেনে ধরতে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও জার্মানির সঙ্গে ইরানের একটি চুক্তি হয়। ওই চুক্তিতে ইরানের ওপর আরোপিত জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলোর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা ক্রমান্বয়ে তুলে নেওয়ার বিপরীতে পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে সম্মত হয় তেহরান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads