• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
এখনো বৈঠকে আগ্রহী উত্তর কোরিয়া

‘যেকোনো সময়’ আলোচনায় আগ্রহী উত্তর কোরিয়া

ইন্টারনেট

বিদেশ

এখনো বৈঠকে আগ্রহী উত্তর কোরিয়া

হতাশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৬ মে ২০১৮

ট্রাম্পের বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও ‘যেকোনো সময়’ আলোচনায় আগ্রহী উত্তর কোরিয়া। গত বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার পুঙ্গি-রি পরমাণু পরীক্ষা কেন্দ্র ধ্বংস করার পরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করে দেন। ট্রাম্পের এমন ঘোষণার পর গতকাল শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে আলোচনার দরজা এখনো খোলা আছে বলে জানানো হয়। খবর রয়টার্সের।

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কিম কায়ে গাওয়ান এক বিবৃতিতে জানান, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন সাহসী সিদ্ধান্তকে আমরা অত্যন্ত প্রশংসা জানাই। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্ট এমন সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি এবং সম্মেলনের মতো কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপও নিতে পারেনি। একই সঙ্গে আমরা আশা করি কথিত ‘ট্রাম্প ফর্মুলা’ দুই পক্ষকেই তাদের উদ্বেগ পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে।’

উত্তর কোরিয়া নিয়ে ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় পিয়ংইয়ং। পরবর্তীতে পিয়ংইয়ংয়ের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও বোল্টনের বক্তব্যের সঙ্গে সুর মেলান। উত্তর কোরিয়াকে লিবিয়ার পরিণতি ভোগ করতে হবে ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে কূটনীতিক সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়।

আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প-কিম বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়ার পরই বৈঠক নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে উত্তর কোরিয়া। বৈঠক বাতিল হলে দুই দেশ পারমাণবিক শোডাউনে লিপ্ত হবে বলেও সতর্ক করেন উত্তর কোরিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সোন হুই।

এদিকে ট্রাম্প-কিমের বৈঠক বাতিল হওয়ার ঘোষণায় উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ ছাড়াও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আলোচনার দুয়ার খোলা রাখার ওপর জোর দিয়েছেন তারা। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে মর্মাহত হয়েছেন বলে জানা যায়। তিনি জানান, ‘সিঙ্গাপুরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং কিমের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বৈঠক বাতিল হওয়ায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমাদের মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে।’ সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক টুইটবার্তায় লেখে, ‘কিম জং উন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ১২ জুন নির্ধারিত বৈঠক বাতিল হওয়ায় সিঙ্গাপুর হতাশ। সিঙ্গাপুর আশা করে কোরীয় উপদ্বীপে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় আলোচনা অব্যাহত থাকবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র যুক্তরাজ্যও এমন সিদ্ধান্তে হতাশা ব্যক্ত করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এক বিবৃতিতে জানান, ‘১২ জুন ট্রাম্প-কিমের বৈঠক হচ্ছে না শুনে আমরা হতাশ।’ তবে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ অবশ্য বলেছেন, বৈঠক বাতিলে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত চলমান সংলাপ প্রক্রিয়ার একটি ত্রুটিমাত্র।

গত ২৭ এপ্রিল এক ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হয় দুই কোরিয়া। বৈঠকের পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন ট্রাম্পের সঙ্গে কিমের বৈঠকের ব্যাপারে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেন। এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকেই জানানো হয় জুন মাসে উত্তর কোরিয়া তার পরমাণু পরীক্ষা কেন্দ্র ধ্বংস করবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads