পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে দেশটির কট্টর জঙ্গি হাফিজ সাঈদের রাজনৈতিক দল ইসলামিস্ট মিল্লি মুসলিম লিগ(এমএমএল)-এর সব প্রার্থী, কর্মী ও সংগঠনের সব অ্যাকাউন্ট আর পেজ বন্ধ করে দিয়েছে ফেসবুক। এর ফলে, ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য পাকিস্তানের নির্বাচনে সাঈদের হাতে গড়া সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘জামাত-উদ-দাওয়া’র প্রচারণা জোর ধাক্কা খেল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
কয়েকদিন আগেই ফেসবুকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মার্ক জ়াকারবার্গ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তার সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটকে আর কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার হতে দেওয়া হবে না। পাকিস্তান, ভারত, ব্রাজিল, মেক্সিকোসহ অন্যান্য দেশে আসন্ন নির্বাচনে যাতে কেউ বা কারা সন্ত্রাসবাদী বা বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রচার চালাতে না পারে তার ওপর নজর রাখা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
পাকিস্তানের দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউনেরর খবর, সম্প্রতি পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফেসবুকের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কোন কোন অ্যাকাউন্ট বা পেজ এই ধরনের প্রচার চালাচ্ছে, তা চিহ্নিত করে তাদের একটি তালিকা দেওয়ার কথা পাক নির্বাচন কমিশনকে জমা দিতে বলা হয়েছিল ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে।
হাফিজ সাঈদের নবগঠিত রাজনৈতিক দল এমএমএলকে এখনো পর্যন্ত স্বীকৃতি দেয়নি দেশটির নির্বাচন কমিশন। লস্কর-ই-তৈয়বার মতো সংগঠনের সঙ্গে সখ্যতার দায়ে এমএমএলকে এপ্রিলে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র ।
নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃতি না পাওয়ায় সাঈদ ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার নবগঠিত দলের প্রায় ২০০জন প্রার্থী পাকিস্তানের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে লড়বেন স্বল্প পরিচিত রাজনৈতিক দল ‘আল্লাহ-ও-আকবর তেহরিক’(এএটি)-এর ব্যানারে। এই দলটিকে অবশ্য স্বীকৃতি দিয়েছে পাক নির্বাচন কমিশন।
ফেসবুকের এই পদক্ষেপে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এমএমএল। সাঈদের দলের মুখপাত্র তাবিশ কাইয়ুম বলেছেন, ‘সামনে ভোট বলে সব রাজনৈতিক দলই এখন ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করছে। এই সময়ে আমাদের সব প্রার্থী ও কর্মীদের অ্যাকাউন্ট ও পেজ বন্ধ করে দিয়ে আমাদের প্রতি চরম অবিচার করল ফেসবুক।’