• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
পরিকল্পনায় সমর্থন না দিলে কোনো ব্রেক্সিট নয় : মে

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে

ছবি : ইন্টারনেট

বিদেশ

পরিকল্পনায় সমর্থন না দিলে কোনো ব্রেক্সিট নয় : মে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৬ জুলাই ২০১৮

মন্ত্রিসভায় নেওয়া ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় সমর্থন না দিলে কোনো ব্রেক্সিট হবে না বলে বিদ্রোহীদের সতর্ক করে দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। গতকাল রোববার কনজারভেটিভ পার্টির দ্বিধাবিভক্ত সদস্যদের উদ্দেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বাণিজ্যিক পরিকল্পনা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী এমন কঠোর মন্তব্য করেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

প্রধানমন্ত্রী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে এই দেশের উদ্দেশে আমার পরিষ্কার বার্তা : পুরস্কারের দিকে আমাদের সকলের নজর দেওয়া উচিত। আমরা তা না করলে ব্রেক্সিট ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।’ কদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সমালোচনার পর ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে থেরেসা মে’র নড়বড়ে অবস্থান মজবুত হয়। বিশ্লেষকদের মতে, ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে মে’র যোগাযোগপরবর্তীতে ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে।

সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে ইংল্যান্ডের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। আলোচনাপরবর্তীতে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, রানি ব্রেক্সিটকে অত্যন্ত জটিল সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এদিকে থেরেসা মে আশা করছেন, ইইউ থেকে যুক্তরাজ্য বের হয়ে যাওয়ার পর অল্প সময়ের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হবে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে ট্রাম্পের। আলোচনায় ট্রাম্প মে’কে বাণিজ্য ইস্যু নিয়ে ইইউর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে বলেন। মে জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে ব্রাসেলসের সঙ্গে কোনো আপস না করতে বলেছেন। ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইইউর সম্পর্ক আরো অবনতি হয়েছে বলে মনে করছেন ব্রেক্সিটবিষয়ক বিশ্লেষকরা। ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ ব্যানন অবশ্য মনে করেন, পদত্যাগ করা ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের উচিত থেরেসা মে’র পদকে চ্যালেঞ্জ করা।

ইইউ থেকে যুক্তরাজ্য আর ৯ মাস পর বের হয়ে যাবে। অথচ এখনো ব্রিটিশ এলিটরা এবং শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা ব্রেক্সিটপরবর্তীতে ইইউর সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ কী হবে তা নিয়ে সন্দিহান। সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন ও অন্যরা কট্টর ব্রেক্সিটপন্থি। তাদের মতে, যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে কোনো আপস ছাড়াই বের হয়ে যেতে পারে এবং বাণিজ্যে ইইউকে কোনো ছাড় দেওয়ার বিপক্ষে তারা। যদিও নমনীয় ব্রেক্সিটপন্থিরা (থেরেসা মে) মনে করছেন, ইইউর সঙ্গে বাণিজ্যিক বিরোধপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি করে যুক্তরাজ্য টিকতে পারবে না। আর তাই গত সপ্তাহে থেরেসা মে তার মন্ত্রিসভায় নতুন ব্রেক্সিট পরিকল্পনা উত্থাপন করেছিলেন। সেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে অবাধ ও শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা রাখা হয়। কিন্তু কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিদের মধ্যে অনেকেই এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।

যুক্তরাজ্য এখনো ইইউ থেকে বের হয়ে যায়নি। বের হয়ে যাওয়ার জন্য সাংগঠনিক পরিকল্পনায় ব্যস্ত এখনো মে সরকার। এমন অবস্থায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ এবং বিলিওনিয়ার ব্যবসায়ী জর্জ সোরেস মনে করেন, যুক্তরাজ্যের এখনো ইইউর সঙ্গে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্রিটিশ মন্ত্রিসভায় মে-বিরোধীদের সমর্থনে পর্যাপ্ত আইনপ্রণেতা রয়েছেন যারা চাইলে ভোটে জিততে পারেন। কিন্তু মে’র পার্টিতে এমন কতজন আইনপ্রণেতা রয়েছেন যারা ব্রেক্সিট নিয়ে বিদ্রোহীদের সঙ্গে বিতর্ক করতে পারেন তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads