• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
উত্তর কোরিয়া পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে

ছবি : ইন্টারনেট

বিদেশ

জাতিসংঘের প্রতিবেদন

উত্তর কোরিয়া পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৫ আগস্ট ২০১৮

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। এছাড়া পিয়ংইয়ং সমুদ্রপথে অবৈধভাবে জাহাজ থেকে জাহাজে তেলজাত পণ্য স্থানান্তরের প্রক্রিয়া বৃদ্ধিসহ অন্যান্য রাষ্ট্রে তাদের অস্ত্র বিক্রির চেষ্টাও অব্যাহত রেখেছে। খবর বিবিসি ও সিএনএন। 

স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল গত শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গোপনীয় এ প্রতিবেদন জমা দেয়। এ বিষয়ে উত্তর কোরিয়া এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনামূলক উষ্ণ সম্পর্কের মধ্যেই উত্তর কোরিয়া নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণে কাজ করছে বলে গত সপ্তাহেই সন্দেহের কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। উপগ্রহের ছবিতে দেখা যায়, পিয়ংইয়ংয়ের কাছে একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে নিয়মিত তৎপরতা দেখা যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটি পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করেনি। অবৈধ উপায়ে জাহাজ থেকে জাহাজে পেট্রোলিয়াম পণ্য স্থানান্তরের পরিমাণ বাড়িয়ে তারা নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তকে ধারাবাহিকভাবে অমান্য করছে। ২০১৮ সালে তারা সমুদ্রপথে কয়লাও স্থানান্তর করে। এ ছাড়া পিয়ংইয়ং হালকা অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম লিবিয়া, ইয়েমেন ও সুদানে সরবরাহেরও চেষ্টা চালাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ড দেশটির ওপর দেওয়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাকে অকার্যকর করে দিচ্ছে বলেও এতে দাবি করা হয়।

এমন সময় নিরাপত্তা পরিষদে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের এ প্রতিবেদন জমা পড়ল, যখন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদী বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ হবে। তবে কতদিনের মধ্যে এটি বাস্তবায়িত হবে সে সম্পর্কে স্পস্ট করে কিছু বলেননি তিনি। সিঙ্গাপুরে আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের সাবেক এ সিআইএ প্রধান জানান, সম্পূর্ণ ও যাচাইযোগ্য নিরস্ত্রীকরণে দেশটির ওপর কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ অব্যাহত রাখার ওপরও চাপ অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ জুন সিঙ্গাপুরের সানতোসা দ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় কিম কোরীয় উপদ্বীপকে সম্পূর্ণ পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে কীভাবে ও কতদিনের মধ্যে এটি হবে, তার কোনো ইঙ্গিত দেননি। পরমাণু অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে পিয়ংইয়ংয়ের ওপর এখনো জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিষেধাজ্ঞা আছে। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়িত হচ্ছে কি-না, তা পর্যবেক্ষণকারী বিশেষজ্ঞরা শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে এ প্রতিবেদন জমা দেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads