• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
সৌদি আরব রাশিয়ার কাছে ‘জিম্মি’ তেলের বাজার

প্রতীকী ছবি

বিদেশ

ইরানের ওপেক গভর্নর

সৌদি আরব রাশিয়ার কাছে ‘জিম্মি’ তেলের বাজার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ইরানের জ্বালানি তেল বিক্রিতে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সুযোগে তেলের বাজার নিজেদের ‘জিম্মি’ করে নিয়েছে সৌদি আরব ও রাশিয়া। অর্গানাইজেশন অব পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজের (ওপেক) ইরানের গভর্নর হোসেন কাজেমপুর আর্দেবিলির বরাত দিয়ে জানিয়েছে দেশটির তেল মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সংস্থা শানা।

নভেম্বরের মধ্যে ইরানের তেল রফতানি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চায় ওয়াশিংটন। আর ওয়াশিংটনের এ পদক্ষেপে সরবরাহ ঘাটতি পূরণে তেল উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহ জোগাচ্ছে সৌদি আরবসহ অন্যান্য ওপেক সদস্য ও রাশিয়াকে। হোসেন কাজেমপুর আর্দেবিলির উদ্ধৃতি দিয়ে শানা জানিয়েছে, জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে ভারসাম্যতা বজায় রাখার উপায় অনুসন্ধান করছে বলে দাবি রাশিয়া ও সৌদি আরবের। কিন্তু তারা রয়েছে ইরানের বাজার দখলের চেষ্টায়। আর্দেবিলির ভাষ্য, আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে ইরানের প্রবেশ রুখে দেওয়ার প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে রাশিয়া ও সৌদি আরবকে বাজার জিম্মি করে নিতে অনুরোধ জানাচ্ছেন ট্রাম্প।

গত শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আর্দেবিলি জানান, তেলের বাজারে এরই মধ্যে সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আর প্রতিদ্বন্দ্বী উৎপাদকরা সেই ঘাটতি পূরণ করতে পারছে না। তাই ইরানের তেল রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করতে বেগ পেতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে। নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে রিয়াদ ও মস্কো স্বাগত জানিয়েছে বলে গত শনিবার অভিযোগ করেছেন আর্দেবিলি। এ ধরনের কাজ ওপেকের বিশ্বাসযোগ্যতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে সতর্ক করেন তিনি। বলেন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ওপেককে যুক্তরাষ্ট্রের জাতিয়ার করে তুলছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দরপতন অব্যাহত থাকায় ২০১৭ সালে তেল উৎপাদন কমিয়ে দেয় ওপেক ও এর সহযোগীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছর পণ্যটির দাম বেড়ে যায়। তেলের দাম কমাতে ট্রাম্পের চাপে জুন থেকে পণ্যটির উৎপাদন বাড়াতে সম্মত হয় ওপেক ও তার সহযোগীরা। তারপর থেকেই বাড়ছে ওপেকের তেল উৎপাদন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads