• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
হুমকির মধ্যেই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত নির্বাচন আফগানিস্তানে

সংগৃহীত ছবি

বিদেশ

হুমকির মধ্যেই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত নির্বাচন আফগানিস্তানে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২১ অক্টোবর ২০১৮

তালেবান হামলার হুমকি ও নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া প্রহরার মধ্যেই আফগানিস্তানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত নির্বাচন। গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ২০১৫ সালে আগের সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই নতুন নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও নিরাপত্তা সঙ্কটের কারণে তা পিছিয়ে এ পর্যন্ত এলো। এদিকে রাজধানী কাবুলে ভোটকেন্দ্রে বোমা হামলায় তিনজন নিহত ও অন্তত ৩৭ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মহিবুল্লাহ জির বলেন, রাজধানী কাবুলে তালেবান হামলায় ৩৭ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। নিহত তিনজনের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে বলে জানান তিনি। আহতদের কাবুলের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফার্স্ট পোস্ট। আলজাজিরার খবর।

দুর্নীতি, অর্থনৈতিক দুরবস্থা ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে যাওয়া সংঘাতের কারণে রাজনৈতিক নেতাদের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না অনেক আফগান নাগরিক। অন্যদিকে বিদেশি অংশীদারদের আশা, এ নির্বাচন দেশটির ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ পরিস্থিতি বদলাতে কাজে দেবে। আগামী বছরের এপ্রিলে হতে যাওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আগে এবারের সংসদ নির্বাচনকে বেশ গুরুত্ব দিয়েই দেখছেন পর্যবেক্ষকরা। আফগানিস্তানের স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। দেশের ৩৩টি প্রদেশে ৫ হাজার ১০০ ভোট কেন্দ্রের ২১ হাজার ভোটিং মেশিনে একযোগে ভোটগ্রহণ করা হয়। প্রায় ৯০ লাখ ভোটার এবারের নির্বাচনে তাদের রায় জানানোর সুযোগ পাচ্ছেন। যদিও তালেবান হুমকির কারণে ভোট পড়ার হার কম হবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। তালেবানের পতনের পর ২০০১ সালের পর তৃতীয়বারের মতো ভোট দিচ্ছে দেশটির সাধারণ মানুষ।  আফগান পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ মেশেরানো জিগরা এবং নিম্নকক্ষ ওলেসি জিগরার। গতকাল নিম্নকক্ষের ভোটগ্রহণ হয়। এর মাধ্যমে সংসদ সদস্যরা পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন। নিম্নকক্ষে মোট ২৫০টি আসন। এর মধ্যে ১০টি আসন কুচিস এবং একটি যৌথভাবে শিখ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত। নিম্নকক্ষে ৬৮ নারী প্রতিনিধি থাকবে। প্রতিটি প্রদেশে অন্তত একজন করে নারী প্রতিনিধি থাকবে।

তবে সংসদ নির্বাচনকে ‘ভুয়া’ আখ্যা দিয়ে তা বয়কট করতে জনগণের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান। ভোট বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে গত কয়েক বছরে আফগানিস্তানে ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে ওঠা মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটও। যাতে দেশের জনগণ ভয়ে ভোটকেন্দ্রে না যায় সেজন্য ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে তালেবান।  গত বৃস্পতিবার কান্দাহারে এ রকম একটি হামলায় শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা জেনারেল আবদুল রাজ্জাক নিহত হওয়ার পর প্রদেশটির ভোট এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়। ওই হামলায় অল্পের জন্য বেঁচে যান মার্কিন কমান্ডার জেনারেল স্কট মিলার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads