• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
পার্টির নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের

জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল

সংগৃহীত ছবি

বিদেশ

পার্টির নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৯ অক্টোবর ২০১৮

জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল নিজ দল ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্র্যাট ইউনিয়নের (সিডিইউ) নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। গত ১৮ বছর ধরে তিনি দলটির প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে ১৩ বছর অর্থাৎ চার দফায় দেশের চ্যান্সেলর হিসেবে নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন মের্কেল।

সিডিইউ পার্টির বরাত দিয়ে সিএনএনের খবরে আজ সোমবার বলা হয়, আগামী ডিসেম্বরে শীর্ষস্থানীয় এ রাজনৈতিক দলটির কাউন্সিল। এর ঠিক আগেই অ্যাঙ্গেলা মের্কেল স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, দলের দায়িত্ব থেকে এবার তিনি অব্যাহতি নিতে চান। শুধু দেশপ্রধান হিসেবে চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।

তবে সম্প্রতি জার্মানির বাভারিয়ান রাজ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তার দলের ভরাডুবির পর দেশে তার দলের একচেটিয়া গ্রহণযোগ্যতায় ভাটা পড়ার কারণেই তিনি দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। শুধু দেশের জনগণের কাছেই নয়, এ নির্বাচনের কারণে দলের মধ্যেও তার অবস্থা বেশ খানিকটা নাজুক হয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জার্মানিতে প্রবেশ করা হাজার হাজার শরণার্থীর বড় অংশের পুনর্বাসন করা হয়েছে এই বাভারিয়ান রাজ্যেই। আর এ কারণেই স্থানীয়রা ক্ষমতাসীন দল সিডিইউ’র দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে সিএনএনের খবরে বলা হয়।

সিএনএনের খবরে পদত্যাগের ঘটনাকে মের্কেল যুগের শেষের সূচনা হিসেবেও চিহ্নিত করা হচ্ছে। বিষয়টি হাতিয়ার করেছে বিরোধীরাও। দল থেকে পদত্যাগ করলেও মের্কেল চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার বিষয়ে সমালোচনা করছেন বিরোধীরা। একটি রাজ্যের মধ্যবর্তী নির্বাচনে হারের কারণে যদি দলের নেতৃত্বে থাকার বিষয়ে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন মের্কেল, তাহলে তার প্রভাব দেশ পরিচালনার ওপরও পড়বে বলে মনে করেন তারা। ২০২১ সালে জার্মানিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের নির্বাচনের জয়ের মধ্য দিয়ে জার্মানির প্রথম নারী চ্যান্সেলরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন মের্কেল। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর জার্মানিকে তিনি উপহার দেন বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। প্রতিদানস্বরূপ ২০০৯, ২০১৩ ও ২০১৭ সালের নির্বাচনেও জার্মানির মানুষ তার পক্ষেই রায় দেয়। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর এই নারী শুধু নারীদের মধ্যেই নয়, ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের সব ক্ষমতাধর নেতার মধ্যেও আছেন তিন নম্বর অবস্থানে। ২০১৫ সালে তিনি জায়গা করে নেন টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads