• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
খাশোগির মৃত্যু আমার জীবনকে শূন্য করে দিয়েছে : হেতিস

জামাল খাশোগি ও তার বাগদত্তা হেতিস চেঙ্গিস

সংগৃহীত ছবি

বিদেশ

খাশোগির মৃত্যু আমার জীবনকে শূন্য করে দিয়েছে : হেতিস

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ৩০ অক্টোবর ২০১৮

‘তার মৃত্যু আমার জীবনকে শূন্য করে দিয়েছে, আমি তার হত্যাকারীদের বিচার দাবি করছি এবং লাশ ফেরত চাইছি।’ কথাগুলো বলেছেন হত্যাকাণ্ডের শিকার সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির তুর্কি বাগদত্তা হেতিস চেঙ্গিস। গত সোমবার লন্ডনে খাশোগির আয়োজনে শোকসভায় আবেগঘন বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় লাশের তথ্য প্রকাশ করতে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কাছে দাবি জানান। এছাড়া হত্যাকারীদের পাশাপাশি নির্দেশদাতাদেরও শাস্তি দাবি করে সত্য উদঘাটনের জন্য বাণিজ্য স্বার্থকে পাশে সরিয়ে রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। খবর বিবিসি ও আলজাজিরা।

মধ্যপ্রাচ্য পর্যবেক্ষণকারী ব্রিটিশ সংস্থা মিডলইস্ট মনিটর ও আল শার্ক ফোরাম আয়োজিত শোকসভায় হেতিস বলেন, আমি বিশ্বাস করি- সৌদি জানে তার (খাশোগির) মরদেহ কোথায় আছে। এ বিষয়ে তাদের উত্তর দিতে হবে। এটা শুধুমাত্র একজন বাগদত্তার দাবি নয়, একজন মানুষের এবং সেই সঙ্গে ধর্মীয় দাবিও। খাশোগির হত্যাকাণ্ড যেন কোনোভাবেই ধামাচাপা দেওয়া না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তুরস্কের বাইরে প্রথমবারের মতো নিজের মত প্রকাশ করলেন তিনি। বলেন- আমি ন্যায়বিচার চাই। যারা আমার ভালোবাসার মানুষটিকে হত্যা করেছেন শুধু তারাই নয় বরং যারা এর পেছনে জড়িত এবং হত্যার আদেশ দিয়েছিল তাদেরও বিচার চাই। এটা শুধু আমার নয়, লাখ লাখ মানুষের প্রশ্ন। এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে আমি রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা দেখতে চাই।

চার মাস আগে তুরস্কের শিক্ষক হেতিসের সঙ্গে বাগদান হয় খাশোগির। গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার সময় তাকে বাইরে রেখে যান খাশোগি। সেই কথা মনে করে বলেন, ‘আমি যদি জানতাম সেখানে কী ঘটতে যাচ্ছে, তাহলে আমিও কনস্যুলেটে ঢুকতাম। বুঝতে পারিনি সেখানে রক্তপিপাসু লোকজন আছে, তারা আমার জামালের জন্য অপেক্ষা করছে। বুঝতে পারলে কখনোই তাকে সেখানে যেতে দিতাম না।’

খাশোগির মৃত্যুতে আমার জীবনে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। খাশোগিকে সৌদি আরবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য হওয়া শহীদ বলেও অভিহিত করেন। হত্যাকাণ্ড নিয়ে ট্রাম্পের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, বিশ্বের মানুষ আমার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তবে আমি অনেক দেশের বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপে অসন্তুষ্ট। ট্রাম্পের উচিত সত্য উন্মোচন আর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া ঠিক হবে না। অর্থ যাতে  কোনোভাবেই আমাদের বিবেককে কলঙ্কিত করতে না পারে এবং মূল্যবোধের সঙ্গে যেন আমাদের আপস করতে না হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads