• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না’

ছবি : সংগৃহীত

বিদেশ

‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না’

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১১ ডিসেম্বর ২০১৮

হত্যাকাণ্ডের শিকার সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাশোগির সর্বশেষ কথা ছিল, আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। সম্প্রতি তুরস্ক গোয়েন্দা সংস্থার হাতে এক অডিও টেপ এসেছে। সেখানে খাশোগিকে এ কথা বলতে শোনা গেছে।

তুরস্কের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমগুলোয় দাবি করা হয়েছে খাশোগি হত্যা পূর্ব পরিকল্পিত। কয়েকবার ফোন করে তাকে হত্যার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এই ফোন কলগুলো রিয়াদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এসেছিল। তুর্কি গোয়েন্দা সংস্থা অডিও রেকর্ড থেকে ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি করেছে। তুরস্কের মতে, হত্যার আগে খাশোগির কথাবার্তা রেকর্ড রয়েছে। এতে বার বার খাশোগির বাঁচার আর্তি শোনা গেছে।

গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে প্রবেশের পর হত্যার শিকার হন খাশোগি। তুরস্ক দাবি করেছে খাশোগিকে হত্যার জন্য অন্তত ১৫ জনের একটি দলকে সৌদি থেকে পাঠানো হয়। খুব সম্ভবত হত্যার পর তার দেহ করাত দিয়ে টুকরো টুকরো করা হয়। এদিকে খাশোগি হত্যায় জড়িত দুই সৌদি নাগরিককে তুরস্কের কাছে হস্তান্তর করা হবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী আদিল আল জুবায়ের। সম্প্রতি খাশোগি হত্যায় প্রধান ভূমিকা পালনকারী ওই দুই সৌদি নাগরিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে তুরস্ক।

গত রোববার রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে আদিল বলেন, ‘আমাদের নাগরিকদের আমরা কারো কাছে হস্তান্তর করব না। এই দেশেই তাদের বিচার হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ আমাদের কাছে দিতে তুরস্ককে আমরা বলেছিলাম। তথ্য-প্রমাণ পেলে আমরা তা আদালতে ব্যবহার করতে পারি। কিন্তু তুরস্ক তা করেনি।’

গত বুধবার তুরস্কের একটি আদালত খাশোগি হত্যার ঘটনায় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত দুই সৌদি নাগরিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এরা হলেন আহমাদ আল আসিরি ও সৌদ আল কাহতানি। খাশোগি হত্যার সময় জেনারেল আসিরি ছিলেন সৌদি গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান। তা ছাড়া তাকে যুবরাজের সঙ্গে বিভিন্ন রুদ্ধদ্বার বৈঠক ও বিদেশে সফরসঙ্গী হিসেবে দেখা যেত। অপর অভিযুক্ত সৌদ আল কাহতানি ছিলেন যুবরাজের অন্যতম পরামর্শক। গত সপ্তাহে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এই দুজনকে আঙ্কারার হাতে তুলে দিতে বলেন।

এই হত্যাকাণ্ডের জেরে যুক্তরাষ্ট্র গত মাসে ১৭ সৌদির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ওই তালিকায় কাহতানির নাম থাকলেও আসিরির নাম নেই। সৌদির পাবলিক প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, খাশোগিকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার আদেশটি আসিরির কাছ থেকে এসেছিল এবং কাহতানির ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বর্তমানে এ দুজন আটকাবস্থায় আছেন কি না, সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি হননি সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads