ভারতের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার ক্ষমতার সাড়ে চার বছরের মেয়াদে মোট ৮৪টি দেশ সফর করেছেন। তার এই সফরের পেছনে ভারত সরকারকে গুনতে হয়েছে ২০২১ কোটি টাকা! বিরোধী দলের অভিযোগ কিংবা কোনো সূত্রের দেওয়া তথ্য নয়; এটা ভারতের সরকারি হিসাব, যা পেশ করা হয়েছে দেশটির পার্লামেন্টে। আর এ হিসাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় কুমার সিং। আনন্দবাজারের খবর।
কিন্তু পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনী ফল নিয়ে আলোচনার মধ্যেই এই প্রসঙ্গ উঠল সংসদে। গত বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এ নিয়ে তথ্য চান কেরালার সিপিএম সংসদ সদস্য বিনয় বিশ্বম। তিনি জানতে চান, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গত সাড়ে চার বছরে মোদি কতগুলো দেশ সফর করেছেন। তাছাড়া এই সফরগুলোয় তার সফরসঙ্গী ছিলেন কারা, কী কী চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে এবং এয়ার ইন্ডিয়াকে কত টাকা দিতে হয়েছে? সে সম্পের্কেও জানতে চান তিনি।
বিনয় বিশ্বমের প্রশ্নের উত্তরে বিজয় কুমার সিং ১৫ জুন, ২০১৪ থেকে ৩ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার বছরের হিসাব দিয়েছেন। সেই তথ্য বলছে, ২০১৪ এর ২৬ মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এই সময়ের মধ্যে ৮৪টি দেশ সফর করেছেন মোদি। সেসব বিদেশ ভ্রমণে মোট খরচ হয়েছে ২০২১ কোটি টাকা। কোন খাতে কত খরচ হয়েছে, তাও জানিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে বিমান রক্ষণাবেক্ষণে, ১৫৮৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া চাটার্ড বিমানের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে গিয়েছে ৪২৯ কোটি ২৮ লাখ এবং নিরাপদ হটলাইনের জন্য খরচ হয়েছে ৯ কোটি ১২ লাখ টাকা। তবে এই হটলাইনের খরচ ধরা হয়েছে ২০১৪ থেকে ২০১৭ এই তিন বছরে।
এ জন্য বিরোধী দলগুলো বরাবরই মোদিকে কটাক্ষ করে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী কোনো বিদেশ সফর থেকে ফিরলেই ‘ভারত সফরে এলেন মোদি’ এ রকম মন্তব্য শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদির বিদেশ সফরের এই বিপুল খরচ নিয়ে বিরোধীরা নতুন করে অস্ত্র পেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
