• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ইন্দোনেশিয়ায় হচ্ছে নতুন সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থা

ছবি : সংগৃহীত

বিদেশ

ইন্দোনেশিয়ায় হচ্ছে নতুন সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮

সমুদ্রের তলদেশে ভূমিধসের কারণে সৃষ্ট সুনামি শনাক্ত করে আগেভাগেই সতর্কবার্তা দিতে সক্ষম একটি নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। নতুন বছর থেকেই এ প্রযুক্তি স্থাপনের কাজ শুরু হবে বলে বিবিসিকে জানিয়েছে দেশটির একটি সরকারি প্রযুক্তিবিদ্যাবিষয়ক সংস্থা।

গত শনিবার আনাক ক্রাকাতাউ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে সমুদ্র তলদেশে ভূমিধসের কারণে সৃষ্ট সুনামিতে ইন্দোনেশিয়ায় অন্তত ৪২৯ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে আরো প্রায় ১ হাজার ৪৫৯ জন। এছাড়া নিখোঁজ দেড় শতাধিক মানুষ। দেশটির বর্তমান প্রযুক্তি গত শনিবারের সুনামি সম্পর্কে কোনো ধরনের আগাম বার্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এত প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

‘অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন অব টেকনোলজি’ সংস্থার মুখপাত্র আইয়ান তুরিয়ান বিবিসি ইন্দোনেশিয়া সার্ভিসকে বলেন, নতুন প্রযুক্তি ঢেউয়ের আকার শনাক্ত করে সুনামির সতর্কতা জানাবে। এই প্রযুক্তি ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট সুনামির সতর্কতা জারি করতে সক্ষম। কিন্তু সমুদ্র তলদেশে ভূমিধস বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে সমুদ্রে আলোড়ন সৃষ্টির ফলে যে ভয়াবহ ঢেউ সৃষ্টি হয় তা সম্পর্কে কোনো আগাম ধারণা দিতে পারে না।

তহবিলের অভাব, আগে বসানো বয়া নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর সেগুলো পুনঃস্থাপন না করা এবং প্রযুক্তিগত ত্রুটিকে এর জন্য দায়ী করেছেন কর্মকর্তারা। ২০১২ সাল থেকে ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি সতর্কতায় জারির কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেই বলেও জানান তারা। আনাক ক্রাকাতাউ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত অব্যাহত থাকায় নতুন করে সুনামির আশঙ্কায় উপকূলীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে শনিবারের সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে এখন পর্যাপ্ত খাবার, পানি, ওষুধ ও কম্বল না পৌঁছানোয় আটকেপড়া লোকজনকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। ওইসব এলাকায় হাজার হাজার মানুষ তাঁবু, অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র বা মসজিদে বসবাস করছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads