• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
উচ্চতা কমেছে দুই-তৃতীয়াংশ

ছবি : সংগৃহীত

বিদেশ

কারাকাতাউ আগ্নেয়গিরিতে ধস

উচ্চতা কমেছে দুই-তৃতীয়াংশ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

ইন্দোনেশিয়ায় সক্রিয় হয়ে ওঠা আনাক কারাকাতাউ আগ্নেয়গিরিতে ধস নেমেছে। আকার আগের চেয়ে দুই-তৃতীয়াংশই কমে গেছে। সক্রিয় হওয়ার আগে এর উচ্চতা ছিল ৩৩৮ মিটার। বর্তমানে উচ্চতা মাত্র ১১০ মিটার। ইন্দোনেশিয়ার অগ্ন্যুৎপাত ও ভূতাত্ত্বিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর আলজাজিরা।

বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, আগ্নেয়গিরিটির ভেঙে পড়ার মাত্রা নির্ধারণ করা গেলে সাম্প্রতিক সুনামির শক্তি চিহ্নিত করা যাবে। আগ্নেয়গিরিটির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে সাগরে ছোড়া পাথর ও ছাইয়ের কারণে জাভা ও সুমাত্রা উপকূলের কাছে পানির উচ্চতা পাঁচ মিটার পর্যন্ত বেড়ে গেছে। গত কয়দিনে এর ভর ১৫০-১৮০ মিলিয়ন ঘন মিটার কমে ৪০-৭০ মিলিয়ন ঘন মিটারে নেমেছে।

গত ২২ ডিসেম্বর কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই ইন্দোনেশিয়ার উপকূলীয় শহর সুমাত্রা ও জাভায় ভয়াবহ সুনামি আঘাত হানে। নতুন করে সক্রিয় হয়ে ওঠা আনাক কারাকাতাউ আগ্নেয়গিরির একটি অংশ সাগরে ভেঙে পড়ার পর বিশাল বিশাল ঢেউ উপকূলে আছড়ে পড়ে। ভয়াবহ ওই সুনামিতে প্রাণ হারায় অন্তত সাড়ে চারশ মানুষ। ঘরহারা হয় ৪০ হাজার মানুষ।

আনাক কারাকাতাউ আগ্নেয়গিরি বর্তমানে কী অবস্থায় আছে তা নির্ধারণ করতে বিশেষজ্ঞদেরকে স্যাটেলাইট রাডার ইমেজের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। মেঘের উপস্থিতি, একটানা অগ্ন্যুৎপাত ও সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে পরিদর্শনের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া  আবারো সুনামি আঘাত হানতে পারে এ আশঙ্কায় সুন্দা প্রণালীর বাসিন্দাদের উপকূলীয় এলাকা থেকে এক কিলোমিটার দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন করে আগ্নেয়গিরির কোনো অংশ ভেঙে পড়ার কারণে যদি ফের সুনামি হয় তা আগের মতো ভয়াবহ হবে না। আগের চেয়ে এর ভর কমে গেছে।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প ও সুনামি আঘাত হানে। ভূতাত্ত্বিকভাবে দেশটি রিং অব ফায়ারের ওপর রয়েছে। গত শনিবারের সুনামিটি ছিল ছয় মাসের মধ্যে তৃতীয় বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর উত্তরাঞ্চলীয় সুলাওয়েসি দ্বীপের পালু এলাকায় ৭.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এরপর সেখানে আঘাত হানে সুনামি। দুই দুর্যোগে হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads