• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ভারত আর উত্তেজনা বাড়াতে চায় না : সুষমা

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিদেশ

ভারত আর উত্তেজনা বাড়াতে চায় না : সুষমা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ভারত আর উত্তেজনা বাড়াতে চায় না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তিনি বলেন, তারা দায়িত্বশীলতা ও সংযমের সঙ্গে কাজ করবেন। খবর এনডিটিভির।

আজ বুধবার চীনের হুয়েনে রাশিয়া, ভারত ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ১৬তম বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান নিজ মাটিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অব্যাহত অস্বীকার করার পর এবং লস্কর-ই-তৈয়বা ভারতীয় অংশে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে তার সরকার নিবৃত্তিমূলক হামলা চালিয়েছে।

তিনি বলেন, ভারতে আরেকটি সন্ত্রাসী হামলা থেকে নিষ্কৃতি পেতে জইশ-ই-মোহাম্মদের স্থাপনায় সুনির্দিষ্টভাবে নিবৃত্তিমূলক হামলা চালানো হয়েছে।

এর আগে, পাকিস্তানের স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলতাফ জানান, কাশ্মীরে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কোতলি গ্রামে ভারতের হামলায় শিশুসহ অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তান ও ভারত উভয়ই এলাকাটিকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করেছে।

ভারতীয় বিমান আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পাকিস্তানে প্রবেশ করে বোমা হামলা চালিয়েছে বলে মঙ্গলবার পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র টু্ইট করেন। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেন ওই মুখপাত্র।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এক আত্মঘাতী হামলায় ভারতের আধা সামরিক বাহিনীর ৪০ জনের বেশি সদস্য নিহত হন। পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ হামলার দায় স্বীকার করে। এরপর প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে।

ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিতে থাকে। তবে পুলওয়ামা হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারত তাদের ওপর হামলা করলে পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে বৃটিশ শাসনমুক্ত হওয়ার পর থেকেই অমীমাংসিত কাশ্মীর রাজ্য নিয়ে পারমাণবিক ক্ষমতাধর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। পাকিস্তানের অধীনে স্বাধীন রাজ্য হিসেবে কাশ্মীরকে চায় এক গোষ্ঠী। অন্যদিকে ভারতের অধীনে কাশ্মীরকে চায় আরেক গোষ্ঠী।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads