• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
দেশে ফিরতে উদগ্রীব বাংলাদেশিরা

ছবি : সংগৃহীত

বিদেশ

গ্রেফতার আতঙ্ক

দেশে ফিরতে উদগ্রীব বাংলাদেশিরা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৮ এপ্রিল ২০১৯

শ্রীলঙ্কায় একটি কারখানায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা দেশে ফিরতে তাড়াহুড়ো শুরু হয়েছে। ইস্টার সানডেতে সন্ত্রাসী হামলায় আত্মঘাতীদের একজন ওই কারখানাটির মালিক ইনশাদ ইব্রাহিম। তার বাবা ধনকুবের মসলা ব্যবসায়ী এম ওয়াই ইব্রাহিমকে নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়ার পরই গ্রেফতার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যেও। খবর ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেস ও বিবিসির।

রাজধানী কলম্বো থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে দামাতোগোদায় মহাবোধী ওয়েলাম্পিতিয়ায় অবস্থিত ওই কারখানা। সেখানে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা ইতোমধ্যে শ্রীলঙ্কাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে গেছেন বলে এক কর্মী জানিয়েছেন। ওই কর্মচারী বলেছেন, ‌এই কোম্পানিতে প্রায় ৬০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। কারখানার প্রায় সব শ্রমিকই বাংলাদেশের। খবরে বলা হয়েছে, দামাতাগোদায় একটি তিন তলাবিশিষ্ট ভবনে ওই কারখানাটি গড়ে উঠেছে। উজ্জ্বল নীল ছাদের কারখানাটির ভেতরে এখন পিনপতন নিস্তব্ধতা।

যে ৯ জন আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল, তার মধ্যে রয়েছে এম ওয়াই ইব্রাহিমের দুই ছেলে- ইনশাদ ও ইলহাম ইব্রাহিম। সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ওই দুই ভাই প্রতিজন ১৫ থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত সি-৪ বিস্ফোরক বহন করেছিল। এম ওয়াই ইব্রাহিম বর্তমানে নিরাপত্তা হেফাজতে রয়েছেন। প্রায় ৭ মাস আগে ইনশাদ দামাতোগোদায় ওই কারখানাটি স্থাপন করেন। বিস্ফোরণে ব্যবহূত রাসায়নিক উপাদানগুলোর সঙ্গে তার স্থাপিত ওই কারখানার কোনো যোগসূত্র আছে কি-না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া  কারখানার কোনো কর্মী এতে জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে কিছু কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। কর্মজীবী মানুষের ঘনবসতিপূর্ণ একটি এলাকা হলো দামাতোগোদায় মহাবোধী ওয়েলাম্পিতিয়া। সেখানে কর্মরত প্রায় ৪০ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য কাগজপত্র প্রস্তুত করতে দেখা যায়। 

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, আমাদের কাছে তথ্য আছে- হামলার কয়েক সপ্তাহ আগে ইনশাদ এই কোম্পানির মালিকানা হস্তান্তর করে কিছু ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের কাছে। কারা এটি কিনেছে, তারা কোথা থেকে এত অর্থ পেয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জানা গেছে, ইব্রাহিম পরিবারের ইশানা এক্সপোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড প্রাথমিকভাবে ভিয়েতনাম থেকে মরিচ আমদানি করে তা বিভিন্ন দেশে রফতানি করতো। এম ওয়াই ইব্রাহিমের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা আছে। এরই সূত্র ধরে দুই বছর আগে সরকার তাকে প্রেসিডেন্সিয়াল এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড দেয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads