• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

দাবদাহে নাকাল অস্ট্রেলিয়ার মানুষ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯

ইতিহাসে সর্বোচ্চ গরম পড়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দেশটির মানুষ। গতকাল বুধবার অস্ট্রেলিয়ার গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। আলাদাভাবে কোনো এলাকার তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রিতেও পৌঁছে যাচ্ছে।

এই গড় তাপমাত্রা ভেঙেছে সাম্প্রতিক অতীতের সব রেকর্ড। এর আগে ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি দেশটিতে গড়ে সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে এর চেয়েও বেশি তাপমাত্রার রেকর্ড আছে দেশটিতে। ১৯৬০ সালের জানুয়ারি মাসের ২ তারিখে ওডনাডাট্টা এলাকার তাপমাত্রা ছিল ৫০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও এলাকাটিতে জনবসতি খুব কম, সেটাই বাঁচোয়া।

এমন সময় অস্ট্রেলিয়ায় দাবদাহ শুরু হলো যখন দেশটির সাধারণ মানুষকে লড়াই করতে হচ্ছে ভয়াবহ দাবানলের বিরুদ্ধে। পরিবেশের এই বিপর্যয় নিয়ে এমনিতেই বিপর্যস্ত তারা। তারওপর ভয়াবহ গরমে এখন দিন কাটাতে হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ানদের।

শিগগিরই আরো কয়েকটি দাবদাহে পুড়তে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। অস্ট্রেলিয়ার ব্যুরো অব মেটেরোলজি (বিওএম) বলছে, ১৯১০ সাল থেকে উষ্ণ হতে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। ১৯৬০ সালে এসে বাড়ে এই মাত্রা।

এদিকে অব্যাহত দাবানল আর ক্রমাগত প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ ফুঁসছে। বিশেষ করে দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারাকে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন যেন জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি গুরত্বের সঙ্গে নেন সেটার ওপরও জোর দেওয়া হচ্ছে।

বিবিসি বলছে, দাবদাহকে বলা হয় অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে খারাপ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। দাবানল বা বন্যার চেয়ে বেশি প্রাণহানি হয় এতে। ফলে দাবদাহ নিয়েই এখন সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সেখানকার মানুষ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads