• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

বাংলাদেশ

চলচ্চিত্র হবে রুখে দাঁড়ানোর হাতিয়ার : প্রধানমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০২ এপ্রিল ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্থ ধারার নান্দনিক চলচ্চিত্র নির্মাণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, আমাদের চলচ্চিত্রের রূপালি পর্দায় মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি জাতির আশা-আকাঙ্খা ও স্বপ্নের প্রতিফলন ঘটবে। চলচ্চিত্র হবে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও অরাজকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর হাতিয়ার।’ শেখ হাসিনা জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে সোমবার এক বাণীতে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ২০১৮ পালন উপলক্ষে চলচ্চিত্র শিল্পী, কলাকুশলী, নির্মাতা, পরিচালক, প্রযোজক, পরিবেশক ও দর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ‘আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি’। তিনি বলেন,সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালে তদানীন্তন প্রাদেশিক আইন পরিষদে ‘পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা বিল ১৯৫৭’ উত্থাপন করেন এবং ৩ এপ্রিল বিলটি পাস হয়।

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, জাতির পিতার এ ঐতিহাসিক উদ্যোগের ফলেই পরবর্তীকালে দেশের চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রাণকেন্দ্র ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন’ প্রতিষ্ঠিত হয়। এদেশে শুরু হয় বাংলা চলচ্চিত্রের বিকাশ ও উন্নয়নের নবযাত্রা।

তিনি বলেন,বর্তমান সরকার বিগত ৯ বছরে চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। চলচ্চিত্রকে ‘শিল্প’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশকরা কর রেয়াতসহ নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। সুস্থ ধারার নান্দনিক চলচ্চিত্র নির্মাণের লক্ষ্যে চলচ্চিত্রের জন্য নিয়মিত অনুদান দেওয়া হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন,‘আমরা চলচ্চিত্র শিল্পে মেধাবী ও দক্ষকর্মী সৃষ্টির জন্য ফিল্ম ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। সর্বাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল চলচ্চিত্র নির্মাণের লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। বিএফডিসি’র আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এফডিসিকে আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি দ্বারা স্বয়ংসম্পূর্ণ করা হয়েছে। গাজীপুর জেলায় কবিরপুরে ১০৫ একর জমিতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটি’ নির্মাণের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা প্রণয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, আধুনিক ও ডিজিটাল সিনেমা হল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অসচ্ছল চলচ্চিত্র শিল্পী ও কুলাকুশলীদের আর্থিক সাহায্য ও চিকিৎসা অনুদান প্রদান করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি ‘চলচ্চিত্র নির্মাতাগণ, আমাদের সংস্কৃতি এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন ঘটিয়ে জীবন ঘনিষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাণ করে দর্শকদের মন জয় করবেন। সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে আমাদের চলচ্চিত্র দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সুপরিচিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত হবে-এ আমার প্রত্যাশা।’

তিনি ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ২০১৮’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads