• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

বাংলাদেশ

শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৮ এপ্রিল ২০১৮

একই হারে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পক্ষে একমত হয়েছে দেশের ছয়টি গাস বিতরণ কোম্পানি। তারা আলাদাভাবে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠিয়েছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি)। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে পাঠানো এই প্রস্তাবগুলো এখন বিইআরসিতে পরীক্ষাধীন।

বিইআরসির সূত্র জানা যায়, গড়ে প্রায় ৭৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে ওই প্রস্তাবনায়। তাতে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের বর্তমান দাম ৭ টাকা ৩৯ পয়সা থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ১২ টাকা ৯৫ পয়সায়। আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে এই মূল্যবৃদ্ধি কার্যকর করার জন্যও প্রস্তাবে বলা হয়েছে। তবে আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের এই মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

দাম বাড়ানোর প্রস্তাব সম্পর্কে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) মত হচ্ছে, দাম না বাড়িয়েই কয়েকটি খাত থেকে অর্থ নিয়ে বাড়তি ব্যয় সমন্বয় করা সম্ভব। এর মধ্যে রয়েছে গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের অর্থ ব্যবহার; গ্রাহকদের কাছ থেকে সম্পূরক শুল্ক হিসেবে আদায় করা অর্থ ব্যবহার; অবৈধ সংযোগ ও চুরি বন্ধ প্রভৃতি।

২০১৭ সালের ১ মার্চ ও ১ জুন থেকে দুই দফায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর আদেশ দিয়েছিল বিইআরসি। কিন্তু সে আদেশ অনুযায়ী ১ মার্চ দাম বাড়লেও দ্বিতীয় দফায় ১ জুন থেকে দাম বাড়েনি। ক্যাবের একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট দ্বিতীয় দফার মূল্যবৃদ্ধি স্থগিত করেন।

মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানা গেছে, ৫০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের সমপরিমাণ এলএনজি নিয়ে প্রথম জাহাজটি ২৩ কিংবা ২৪ এপ্রিল মহেশখালীতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এরপর কিছু কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কয়েক দিন লাগবে। এলএনজি থেকে পাওয়া গ্যাস আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু করা হবে। বছরের শেষ দিকে প্রতিদিন আরো ৫০ কোটি ঘনফুট এলএনজি থেকে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।

বিইআরসির সদস্য (গ্যাস) আবদুল আজিজ খান জানান, প্রস্তাবগুলোতে কিছু ঘাটতি আছে। সেজন্য প্রয়োজনীয় আরো কিছু তথ্য কোম্পানিগুলোর কাছে চাওয়া হয়েছে। সেগুলো পাওয়ার পর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

জ্বালানি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী প্রতি ঘনমিটার এলএনজির দাম পড়বে ২৫ দশমিক ২১৫ টাকা। এই এলএনজি পুনরায় গ্যাসে রূপান্তর করার জন্য প্রতি ইউনিটে ব্যয় হবে ১ দশমিক ৫১৪ টাকা। মূল্য সংযোজন কর ও অন্যান্য খরচ মিলে প্রতি ইউনিটে ব্যয় হবে ৩ দশমিক ৭৮২ টাকা। তবে এই হিসাবে সরকারকে দেওয়া ৯৩ দশমিক ২৪ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ধরা হয়নি। সরকার এলএনজির ওপর থেকে এই শুল্ক তুলে দিয়েছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads