• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

ফাইল ফটো

বাংলাদেশ

ভয়াল ২৯ এপ্রিল আজ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৯ এপ্রিল ২০১৮

এক রাতেই পাল্টে যায় চিত্র। সবুজ জনপদ পরিণত হয় বিধ্বস্ত বিরানভূমিতে। চোখের সামনে ভাসছে শুধু লাশ আর লাশ। আগের দিন মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা বাড়িঘর বিলীন জলোচ্ছ্বাসের স্রোতে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ বিস্তীর্ণ উপকূলীয় জনপদ লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় ১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে।

সেই ভয়াল ২৯ এপ্রিল আজ। ২৭ বছর আগের ওই স্মৃতি এখনো তাড়িয়ে বেড়ায় উপকূলের মানুষকে। ২২০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে ২৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্রাণ হারায় ২ লাখেরও বেশি মানুষ। যদিও সরকারি হিসাবে নিহতের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩৮ হাজার। বিধ্বস্ত হয় সাগরতীরের প্রায় দেড়শ’ কিলোমিটার উপকূলীয় ভেড়িবাঁধ।

আড়াই যুগেরও বেশি সময় আগের সেই ভয়াল মুহূর্তের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম বাংলাদেশের খবরকে বলেন, দিনটি ছিল সোমবার। দিনের বেলা মেঘলা আকাশ থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরছিল। সন্ধ্যার পর দ্রুত পাল্টে যায় প্রকৃতির চিত্র। বেড়ে যায় বাতাসের গতিবেগ। শুরু হয় বজ্রসহ বৃষ্টি।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনাম হয় ভয়াবহ এই দুর্যোগের খবর। মার্কিন সেনাবাহিনীর তৎকালীন মেজর জেনারেল হেনরি স্ট্যাকপোলের নেতৃত্বে ২৮ হেলিকপ্টার ও উভচর যান নিয়ে বাংলাদেশে ছুটে এসেছিল ‘অপারেশন সি এঞ্জেল’। চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী, সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী, চকরিয়াসহ উপকূলের প্রত্যন্ত জনপদে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল বেশ কিছু দেশি-বিদেশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

দুঃসহ স্মৃতির ভয়াল ২৯ এপ্রিল নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করে বিভিন্ন সংগঠন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads