• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ঈদের আগে সড়ক ঠিক করতে পুলিশের চিঠি

ঈদের আগে সড়ক ঠিক করতে পুলিশের চিঠি

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশ

ঈদের আগে সড়ক ঠিক করতে পুলিশের চিঠি

  • আজাদ হোসেন সুমন
  • প্রকাশিত ৩০ মে ২০১৮

রাজধানীর ৩৪টি সড়ক ও সারা দেশের মহাসড়কের ১২৫টি এলাকা চিহ্নিত করে রোজার মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে কাজ শেষ করার তাগিদ দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে পুলিশ। ঈদের আগেই সড়কের দুর্ভোগ লাঘব না হলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন্ন হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্প্রতি পুলিশ সদর দফতর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এই চিঠিতে বলা হয়েছে, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৫ জুন পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে পারে। দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত মানুষ ঈদের সময় সপরিবারে গ্রামের বাড়িতে যায়। এ সময় প্রতিবছরই সড়কে ভোগান্তিতে পড়তে হয় ঘরমুখী মানুষকে। চিঠিতে তাদের এই ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে দ্রুত রাস্তাঘাট মেরামত করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে রাজধানীর সবুজবাগ থানা এলাকার ৯টি, শ্যামপুরের ২টি, সূত্রাপুরের ১টি, মিরপুরের ১টি, পল্লবীর ১টি, জাতীয় প্রেস ক্লাবের ১টি, মতিঝিলের ২টি, পল্টনের ১টি, খিলগাঁওয়ের ৩টি, তুরাগের ১টি, দক্ষিণখানের ৩টি, মোহাম্মদপুরের ৬টি, ডেমরার ১টি, বাড্ডার ১টি ও লালবাগের ১টি রাস্তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়কের ১৬টি, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ৩৩টি, ঢাকা-মাদারীপুর মহাসড়কের ৫৩টি ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ২৩টি স্থানের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, কোথাও রাস্তার পিচ উঠে খাদের সৃষ্টি হয়েছে; কোথাও উন্নয়নকাজের কারণে রাস্তা সরু হয়ে গেছে। একই স্থানে দীর্ঘদিন নির্মাণকাজ চলায় জনগণের স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ঈদের আগে সারা দেশে মানুষের চলাচল বাড়বে। জরুরি ভিত্তিতে এসব সমস্যার সমাধান করা না হলে ঈদে যানবাহন চলাচলে দীর্ঘ জট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ ব্যাপারে পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মনিরুজ্জামান গতকাল বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ঢাকা, কুমিল্লা, বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলা পুলিশ, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানা ও হাইওয়ে পুলিশের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খানাখন্দপূর্ণ রাস্তা চিহ্নিত করে চিঠিটি তৈরি করা হয়েছে। কারণ সাধারণ মানুষ ঈদে নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে চায়। মহাসড়কে নির্মাণকাজ ও নির্মাণসামগ্রী যত্রতত্র রাখার কারণে যাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে। বিশেষ করে পুলিশপ্রধানের (আইজিপি) নির্দেশে জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট এই বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নগরের মানুষ ঈদের কেনাকাটা করে নির্বিঘ্নে বাসায় ফিরতে পারলে স্বস্তিবোধ করে। গ্রামের বাড়িতে যেতেও কোনো ভোগান্তি চায় না তারা। এসব বিষয় মাথায় রেখে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads