• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

বাংলাদেশ

বিভক্ত ফোবানায় আগ্রহ নেই প্রবাসীদের

  • প্রকাশিত ৩১ আগস্ট ২০১৯

তোফাজ্জল লিটন, নিউইয়র্ক থেকে

 

দুভাগে বিভক্ত ফেডারেশন অব বাংলাদেশিজ অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকার (ফোবানা) তিন দিনব্যাপী ৩৩তম সম্মেলন নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে গতকাল শুক্রবার থেকে। আমেরিকায় প্রবাসীদের সবচেয়ে বড় এই আয়োজনে আগ্রহ হারিয়েছেন দর্শক। এমনকি কোনো অনুষ্ঠানেই থাকছেন না কোনো সরকারি প্রতিনিধি। লং আইল্যান্ডের নাসাও কলোসিয়ামে হচ্ছে ফোবানা সম্মেলন। অন্যদিকে লাগোর্ডিয়া ম্যারিয়ট হোটেলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফোবানা কনভেনশন। ফোবানা বিভক্ত হয়েছে ব্যক্তিস্বার্থ, নেতৃত্বের কোন্দল, অর্থ আত্মসাৎ—এ কারণে। হয়েছে মামলা-মোকদ্দমা। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে আদম পাচারের অভিযোগও। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন আজ শেষ হবে কাল।  

এ নিয়ে প্রবাসীরা ক্লান্ত। তাই ব্যাপক বড় বাজেটে দুটি আয়োজন হয়েও তা নিছক নাচ-গানের অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কমিউনিটির মানুষ। দুপক্ষের কেউই কত টাকা উঠছে বা কত খরচ হয়েছে তার হিসাব দিতে পারেননি এই প্রতিবেদকের কাছে।

ফোবানায় কোনো সরকারি প্রতিনিধি কেন থাকছেন না এমন প্রশ্নের উত্তরে নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসা বলেন, আগস্ট শোকের মাস। আমরা এই মাসে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যাই না। সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ অনুষ্ঠানে যেতে পারব কি না তা নির্ভর করবে কাজের ওপর।

আক্কাস উদ্দিন নামে একজন নাট্যকর্মী বলেন, ফোবানার মিলনায়তন ভাড়াই তিন দিনে ৩ লাখ ডলার। আরেকটি এর খরচ প্রায় লক্ষাধিক ডলার। আমেরিকার কোথাও বাংলাদেশিদের কোনো সেন্টার নেই। কোনো অনুষ্ঠান করতে হলে ভাড়া দিয়ে কোনো রেস্টুরেন্ট অথবা স্কুলের অডিটরিয়ামে করতে হয়। যে টাকা তারা ফোবানার নামে নাচ-গানের অনুষ্ঠান করে খরচ করছে তা দিয়ে অনায়াসে একটি সেন্টার করা যেত।

আক্কাস আরো বলেন, ফোবানা বাংলাদেশি কমিউনিটির কল্যাণে কী করছে? তারা আদম পাচার করে, মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে নিজের পকেট পূর্ণ করা ছাড়া প্রবাসীদের কোনো কল্যাণ করছে বলে আমি মনে করি না। সর্বনিম্ন ৩০ টাকার টিকিট হয়েও দুদলই তাদের অনুষ্ঠানে দর্শক নেওয়ার জন্য ফ্রি টিকিট দিচ্ছে নানান কায়দায়।

নিউইয়র্ক সিটির অদূরে লং আইল্যান্ডের নাসাও কলোসিয়ামে ব্যয়বহুল যে ফোবানার আসর বসছে, এর আয়োজক বাংলাদেশি নাট্য সংগঠন ড্রামা সার্কল। এদিকে ৩৩তম ফোবানা কনভেনশন নামে আরেকটি আসর বসছে নিউইয়র্ক সিটির লাগোর্ডিয়া ম্যারিয়ট হোটেলে। এর আয়োজক বাংলাদেশি আমেরিকান ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি ইন্ক।

কনভেনশন কমিটির আহ্বায়ক ব্যবসায়ী মো. শাহনেওয়াজ বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ। টিকিট প্রায় শেষের পথে। আমরা আশা করছি, অন্তত ৪ হাজার প্রবাসী এই আয়োজন উপভোগ করবেন। তবে কোন খাতে কত টাকা খরচ হয়েছে বা কত টাকা উঠেছে তার হিসাব এখন দিতে পারছি না। পরে যোগাযোগ করলে পারব।

সম্মেলন কমিটির আহ্বায়ক নার্গিস আহমেদ বলেন, নাসাও কলোসিয়াম বিশ্বের ১০টি বড় ভেন্যুর মধ্যে একটি। আমরা আশা করছি, ১০ হাজার বাঙালি অনুষ্ঠান এবং সেমিনার দেখতে আসবেন। খরচের হিসাব অনুষ্ঠানের পরে দিতে পারব। এখন টাকা উঠছে খরচ করছি, নিজের টাকাও খরচ করছি আমরা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads