পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী কাজ করায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেকহোল্ডার শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইতোমধ্যে বিএসইসি কমিশন সভা করে শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্টের সনদ বাতিল অথবা স্থগিত করতে এনফোর্সমেন্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে। আর এনফোর্সমেন্ট বিভাগ প্রতিষ্ঠানটির অপরাধ পর্যালোচনা করে সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে এ বিষয়ে কমিশনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। জানা গেছে, শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ২০১৭ সালের ৩০ জুনের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিএসইসি গ্রাহক হিসেবে ২২ কোটি ৬৪ লাখ ৪৬ হাজার ৪১১ টাকা ঘাটতি পায়। এরপর এই ঘাটতি সমন্বয় করার জন্য বিএসইসি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্স ১৯৬৯-এর ২০ (এ) ধারার অধীনে শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্টকে নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশনায় ২০১৮ সালের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ঘাটতি সমন্বয় করতে বলা হয়। তবে ওই সময়ের মধ্যে ঘাটতি সমন্বয় না করে শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করে। এর প্রেক্ষিতে ডিএসই থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ, কৌশলগত বিনিয়োগকারী থেকে পাওয়া টাকা এবং সিকিউরিটিজ লেনদেনের ফ্রি লিমিট সুবিধা স্থগিত করার শর্তে প্রতিষ্ঠানটিকে ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেয় বিএসইসি। সময় দেওয়া হলেও শ্যামল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট বিএসইসির নির্দেশনা সম্পূর্ণ পরিপালন করা থেকে বিরত থাকে।