• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
বর্ষার আগে ঝুঁকিমুক্ত হচ্ছে না রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ

বর্ষার আগে ঝুঁকিমুক্ত হচ্ছে না রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ

সংগৃহীত ছবি

যোগাযোগ

বর্ষার আগে ঝুঁকিমুক্ত হচ্ছে না রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ

  • রাঙামাটি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৭ মে ২০১৮

বর্ষার আগে ঝুঁকিমুক্ত হচ্ছে না রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা। আসছে বর্ষায় আবারো সড়কধসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে রাঙামাটিবাসীর মধ্যে। গত বছরের ভয়াবহ পাহাড়ধসের পর প্রায় ১ বছর পূর্ণ হতে চলেছে কিন্তু স্থায়ী মেরামত কাজ এখনো হাতে নেয়নি সরকার। কেবল ফাইল চালাচালির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং মন্ত্রণালয়ের কাজ। অথচ জুনের আগেই ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের ১২৮টি স্থানে স্থায়ী মেরামত ও পুনর্নির্মাণ কাজ করতে ব্যাপক ‘দৌড়ঝাঁপ’ করে রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ। দফতরটি গত ১৬ এপ্রিল ১৭০ কোটি টাকার ডিপিপি সাবমিট করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় না পাওয়ায় কাজে হাত দিতে পারছে না। চলতি অর্থবছরে বিশেষ করে জুনের আগে অর্থ বরাদ্দের সম্ভাবনা নেই বলে জানান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন।

গত বছরের ১৩ জুন পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে রাঙামাটিতে। এতে ৫ সেনাসদস্যসহ ১২০ জন প্রাণ হারান। আহত হয় অনেকেই। পাহাড়ধসের ১ বছর পূর্ণ হতে চলেছে কিন্তু দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত রাঙামাটি-চট্টগ্রামসহ জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো এখনো বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে আবারো সড়কধসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এমদাদ হোসেন বাংলাদেশের খবরকে বলেন, গত ১৬ এপ্রিল ১৭০ কোটি টাকার ডিপিপি সাবমিট করেছি সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে। ওখানে ১২৮টি পয়েন্টে ৪ হাজার সাতশ’ পঁচিশ মিটার পাইলস রিটেইনিং ওয়াল এবং স্লোপ প্রটেকশন নির্মাণ ও কিছু সরঞ্জাম কেনার প্রস্তাব রয়েছে। পাহাড় ও সড়কধসের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বড় আকারের টেকসই পরিকল্পনা নিতে চায়। স্থায়ী নির্মাণকাজের জন্য বড় আকারের প্রকল্প হাতে নিলে যাচাই-বাছাইয়ে আরো সময় লাগবে। তাই আসছে বর্ষার আগে কাজে হাত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। শুষ্ক মৌসুমে সড়কে স্থায়ী নির্মাণকাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads