• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
‘মহাসড়কেও ফিটনেসবিহীন গাড়ি নয়’

পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী

সংরক্ষিত ছবি

যোগাযোগ

‘মহাসড়কেও ফিটনেসবিহীন গাড়ি নয়’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৪ আগস্ট ২০১৮

শুধু রাজধানীর সড়কেই নয়, মহাসড়কেও ফিটনেসবিহীন কোনো গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এ ছাড়া ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ঈদুল আজহা, পশুর হাট, সড়ক ও পর্যটন ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। গতকাল সোমবার পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আইজিপি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে এবার কোনো থ্রেট নেই। তবু এ দিনটিতে দেশজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা জোরদার ও ঈদ জামাত উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।’

সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘মহাসড়কে যাতে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল করতে না পারে, তা আমরা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করব। মহাসড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা রাস্তায় থাকবেন, তারা নিয়মিত সড়ক পরিদর্শনে যাবেন।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইজিপি বলেন, ‘গুজবের প্রতিক্রিয়া ব্যাপক হতে পারে। এতে দেশ, জাতি ও সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’ গুজব বন্ধের উদ্যোগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ফেসবুকের সঙ্গে একাধিকবার বসেছি। বাংলাদেশে তাদের একজন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর রাখার অনুরোধ করেছিলাম। সম্প্রতি আবারো অনুরোধ করেছি।’

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় দুই স্কুলশিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় নেমে আসেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের প্রতিবাদ ছিল যুক্তিযুক্ত। তারা মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন, আমরাও তাদের সহায়তা করেছি।’ অপর এক প্রশ্নের উত্তরে আইজিপি বলেন, ‘আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে এসে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই স্বীকার করে গেছে, তাদের আন্দোলন ‘হাইজ্যাক’ হয়ে গেছে। তৃতীয় পক্ষের উদ্দেশ্য ছিল নাশকতা। তারা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর আঘাত করেছে। এরাই সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে।’

আন্দোলনকালে গুজব ছড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীরা হীন উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে গুজব ছড়িয়ে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিয়ে গুজব ছড়ানো কয়েকশ’ অনলাইন পোস্টদাতাকে আমরা শনাক্ত করেছি। ইতোমধ্যে ২১টি মামলা হয়েছে, সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ে সদর দফতরে একটি শক্তিশালী সাইবার মনিটরিং ইউনিট গঠন করা হয়েছে। যাদের মাধ্যমে নিয়মিত সাইবার পেট্রলিং করা হবে। এর মাধ্যমে প্রতিটি জেলা পর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কার্যক্রম মনিটরিং করা হবে।’

দেশের বাইরে বসে ফেসবুক লাইভে এসে রাষ্ট্র, প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘ইতোমধ্যে এ ধরনের অপরাধে কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধীরা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা প্রসঙ্গে জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীরা রেহাই পাবে না। হামলাকারীদের গ্রেফতার করার জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে নির্দেশে দেওয়া হয়েছে। তারা ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করার কাজ করছে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পলাতকদের মধ্যে দুজনের অবস্থানের তথ্য আমাদের কাছে আছে। তাদের একজন যুক্তরাষ্ট্রে এবং আরেকজন কানাডায় আছেন। আমরা তাদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীসহ সরকারি পর্যায়ে এ বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত আছে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads