• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ঢাকায় ‘আকাশবীণা’

রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইনস বিমান বাংলাদেশের বহরে যুক্ত বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ‘আকাশবীণা’

সংরক্ষিত ছবি

যোগাযোগ

ঢাকায় ‘আকাশবীণা’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ আগস্ট ২০১৮

রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইনস বিমান বাংলাদেশের বহরে যুক্ত বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ‘আকাশবীণা’কে ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়েছে। এটি যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫টিতে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর এটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন বিকালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট হিসেবে ২৭১ যাত্রী নিয়ে উড়বে এই উড়োজাহাজটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পছন্দে এর নামকরণ হয়েছে ‘আকাশবীণা’।

গতকাল রোববার বিকাল ৫টা ১৯ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রানওয়ে স্পর্শ করার পর চতুর্থ প্রজন্মের এই উড়োজাহাজকে স্বাগত জানানো হয়। এ সময় ছিলেন বিমানবন্দরে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এএম মোসাদ্দিক আহমেদ, পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম, পরিচালক (গ্রাহক সেবা) আলী আহসান, পরিচালক (অর্থ) বিনীত সুধ, পরিচালক (পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর মোহাম্মদ মাহবুব জাহান খান (অব.), পরিচালক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ ক্যাপ্টেন কেএইচ সাজ্জাদুর রহিম (অব.), পরিচালক বিপণন ও বিক্রয় আশরাফুল আলম, মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজসহ বিমান ও সিভিল এভিয়েশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। উড়োজাহাজটি আনতে গত বুধবার বিমানের পরিচালনা পর্যদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) ইনামুল বারীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সিয়াটলে গিয়েছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে বোয়িং ফ্যাক্টরি থেকে ড্রিমলাইনার গ্রহণ করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্যদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) ইনামুল বারীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এএম মোসাদ্দিক আহমেদ বলেছেন, যাত্রীদের নিরাপদ ও আরামদায়ক সেবা দিতে বিমান সচেষ্ট। অন্য এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নতুন উড়োজাহাজ বিমানকে সহায়তা করবে। যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণ ও বিমানের মুনাফা বৃদ্ধিতে ড্রিমলাইনার নতুন মাত্রা যোগ করবে।

বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ জানান, ট্যাক্স ও চার্জ বাদে ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ঢাকা রুটে ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া ২০০ মার্কিন ডলার এবং ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকা রুটে ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া পড়বে ২৯০ মার্কিন ডলার।

২০০৮ সালে বিমান চারটি ড্রিমলাইনারসহ মোট ১০টি বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার চুক্তি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক উড়োজাহাজ নির্মাতা কোম্পানি বোয়িংয়ের সঙ্গে। এর মূল্য ধরা হয়েছিল ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চুক্তি অনুযায়ী এরই মধ্যে তারা বোয়িং ৭৭৭ ৩০০ ইআর-এর চারটি এবং বোয়িং ৭৩৭-৮০০-এর দুটিসহ মোট ৬টি উড়োজাহাজ বিমানকে সরবরাহ করেছে। ড্রিমলাইনারের দ্বিতীয় উড়োজাহাজটি চলতি বছরের নভেম্বরে এবং বাকি দুটি আসবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads