• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
 গণপরিবহন শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে পুলিশ

তথ্য সংগ্রহের কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে

সংগৃহীত ছবি

যোগাযোগ

গণপরিবহন শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে পুলিশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ অক্টোবর ২০১৮

গণপরিবহনের চালক ও হেলপারদের তথ্য সংরক্ষণে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গণপরিবহনের চালক, কন্ট্রাকটর, সুপারভাইজার ও হেলপারদের তথ্য সংরক্ষণে পরিবহন মালিক সমিতি, বিআরটিএ ও পুলিশ কাজ শুরু করেছে। তবে এটা একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বিশেষ করে ভাসমান অপরাধী জঙ্গিগোষ্ঠির কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো বাড়ির মালিক, ভাড়াটিয়া, গাড়ির চালক এবং পরিবারের কাজের লোকসহ সকলের ছবিসহ নাম-ঠিকানা নিয়ে পুলিশ সিআইএমএস-এর তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছে। গত প্রায় দু’বছর ধরে এই তথ্য সংরক্ষণের কাজ করছে পুলিশ। শুরুতে ঢাকা মহানগরীতে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য নিয়ে ডাটাবেজ তৈরির কাজে হাত দিয়েছিল পুলিশ। পরে সেই ডাটাবেজের কাজ সারাদেশে শুরু করে পুলিশ। লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের অবস্থান জানতে এবং জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা যাতে কোথাও আস্তানা গড়ে তুলতে না পারে সেজন্যই প্রথমে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এই ডাটাবেজ সম্পূর্ণ শেষ না হলেও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এর সুফল পাচ্ছেন বলেও দাবি পুলিশ কর্মকর্তাদের।

জঙ্গিবাদসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে এর আগে পুলিশ ‘সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইএমএস)’ নামে একটি ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করে। যেখানে দেশের সব নাগরিকের তথ্যই থাকবে। সেই ডাটাবেজের আওতায় গণপরিবহনের চালক ও হেলপারদের আলাদা ফরমেটে তথ্য সংরক্ষণ করা হবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।

পুলিশ জানায়, গণপরিবহনে যারা চালক রয়েছে তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হয়। সেই ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যুর আগে তাদের সঠিক নাম, ঠিকানা যাচাই করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সুপারভাইজারসহ বাসের চালকের সহকারি হিসেবে যারা কাজ করেন, তারাও নিজ নিজ পরিবহন কোম্পানির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে থাকেন। সেজন্য কোম্পানিগুলোকেও চালক ও তার সহকারীদের নাম ঠিকানা সংরক্ষণে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। এতে করে কোনও অপরাধ করে পালিয়ে গিয়ে লুকিয়ে থাকা সম্ভব হবে না। তারপরও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং যাতে অসৎ শ্রেণির ব্যক্তি পরিবহনের চালক, কন্ডাক্টর, সুপারভাইজার ও হেলপার হিসেবে কাজ নিয়ে যাত্রী সেবা বিঘ্নিত করতে না পারে। যাত্রীদের সঙ্গে অপরাধে লিপ্ত হতে না পারে। সেই লক্ষ্যেই গণপরিবহনের শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে।

পুলিশ সদর দফতরের ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এআইজি মোশাররফ হোসেন মিয়াজি বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তায় পুলিশ আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সচেতনতামূলক কাজও চালিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে গণপরিবহনের শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহেও কাজ শুরু হয়েছে। তবে সেটা একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তাছাড়া চালকদের যেহেতু লাইসেন্স নিতে হয়, সেজন্য বিআরটিএ’তে তাদের তথ্য দিতে হয়। সেখানেও তাদের তথ্য রয়েছে। চালকের সহকারীদের তথ্য সংরক্ষণে মালিকপক্ষকে বলা হয়েছে। সবার সঙ্গে সমন্বয় করেই পুলিশ গণপরিবহন শ্রমিকদের তথ্য সংগ্রহ করছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি না চালানো, প্রশিক্ষিত ও দক্ষ চালক নিয়োগ করা ছাড়াও দীর্ঘ পথে অতিরিক্ত চালক নিয়োগ করার জন্য মালিকপক্ষকে বলা হয়েছে। হালকা ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে ভারী গাড়ি না চালানো ও নির্ধারিত যানবাহনের জন্য নির্ধারিত ড্রাইভার নিয়োগ করার জন্য বলা হয়েছে। এতে করে বেপরোয়া ও প্রতিযোগিতামূলকভাবে গাড়ি চালানো এবং হেলপার ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালক দিয়ে গাড়ি চালানোও বন্ধ হবে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads