• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
যানজট হচ্ছে প্রাইভেট কারের কারণে

ছবি : সংগৃহীত

যোগাযোগ

যানজট হচ্ছে প্রাইভেট কারের কারণে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ জুন ২০১৯

যানজটের কারণে ঢাকা শহরের জীবনের গতি থেমে যাচ্ছে। শহরে গাড়ির গতি কোনো কোনো ক্ষেত্রে হাঁটা ও সাইকেলের গতির চেয়েও কম। যদি বাস সার্ভিস ও রেল সেবার উন্নয়ন করা যায় তাহলেই যানজট কমবে। পাশাপাশি প্রাইভেট কার বা ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার বাদ দিয়ে হাঁটা বা সাইকেল ব্যবহারে নগরবাসীকে উৎসাহ দেওয়া হলে যানজট থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির আবাহনী মাঠের পাশে কার ফ্রি সিটিস এলায়েন্সের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত রিকশা ও সাইকেল র‍্যালিতে বক্তারা এসব কথা বলেন। র‍্যালির আয়োজন করে কার ফ্রি সিটিস এলায়েন্স বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিং বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ইয়ুথ।

র‍্যালিতে ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. মারুফ হোসেন বলেন, আজকে অনেকে হয়তো বাধ্য হয়ে প্রাইভেট কার কিনছেন, কিন্তু সেটা সুখকর নয়। আমরা দেখেছি একটা পরিবার যখন একটা গাড়ি কেনে তখন তার ছেলের জন্য, মেয়ের জন্যও গাড়ি কেনে। তখন কিন্তু একটা পরিবারে ৫-৬টা পর্যন্ত গাড়ি হয়ে যাচ্ছে। এভাবে যদি আমরা গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি করি তাহলে চলাচলের মতো অবস্থা থাকবে না। গাড়ির মধ্যে আমাদের বসে থাকতে হবে। এতে সময় ও জ্বালানির অপচয় হবে, তাপমাত্রা বাড়বে। তাই আমরা দাবি করছি, প্রাইভেট কারের পরিমাণ যেন না বাড়ে, চলাচলের জন্য বাস ও রেল ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, যদি হাঁটা ও সাইকেল ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়, হাঁটার জন্য ফুটপাত প্রশস্ত ও সাইকেলের জন্য আলাদা লেন, জেব্রাক্রসিংয়ের ব্যবস্থা থাকলে বেশিরভাগ মানুষ হেঁটে গন্তব্যে যাবেন। অনেকেই দেখা যায় ৫০০ মিটার যেতে বাচ্চার জন্য গাড়ি নিয়ে বের হয়। এরকম অল্প জায়গা সবাই হেঁটে যাবে, প্রতিটি কমিউনিটিতে বিদ্যালয় রাখতে হবে। এতে সে শারীরিকভাবে যেমন সুস্থ থাকবে তেমনি এই পৃথিবীর জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে, কার্বন ডাই-অক্সাইড কমানোর ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরো বলেন, জ্যামের ক্ষেত্রে অনেক সময় রিকশাকে দায়ী করা হয়। আমরা ২০০৪ সালে বলেছিলাম, রিকশা যদি বন্ধ করা হয়, সেই জায়গা প্রাইভেট কার নেবে। তার ফলে যানজট বেড়ে যাবে এবং তাই হয়েছে। মিরপুর রোডে ২০০৪ সালে যখন রিকশা বন্ধ করা হয় তখন গতি ছিল ১৭ দশমিক ৪ কিলোমিটার কিন্তু এখন হয়েছে ৫-৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। অতএব, রিকশা মূলত যানজটের কারণ না, যানজট হচ্ছে প্রাইভেট কারের কারণে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিং বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক জেব্রা ইসরইমসন, ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট-এর পরিচালক গাউস পিয়ারি, স্কেটিং ৭১-এর প্রতিষ্ঠাতা রিহাদ হোসেন প্রমুখ। এছাড়া র‍্যালিতে শতাধিক মানুষ রিকশা ও সাইকেল নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads