• বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪২৯
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত

নাব্য সংকট ৮টি ড্রেজারদ্বারা চ্যানেল ড্রেজিং চলছে

ছবি : বাংলাদেশের খবর

যোগাযোগ

প্রবল স্রোত ও নাব্য সংকট

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত

  • লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ আগস্ট ২০১৯

পদ্মায় প্রবল স্রোত ও নাব্য সংকটে ব্যাহত হচ্ছে শিমুুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ রুটের ফেরি চলাচল। সপ্তাহ খানেক যাবৎ পারাপারের অপেক্ষায় মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে শত শত গাড়ির সারি রয়েছে। ১৮টি ফেরি সচল থাকা সত্যেও নাব্যতার কারণে রাতে চলছে ৪-৫টি ফেরি। দিনে ফেরি চললেও অধেক লোড নিয়ে পদ্মা পারি দিতে হচ্ছে ফেরিগুলোকে। এতে শিমুলিয়াঘাটে যাত্রী ভোগান্তি চরমে।

বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়াঘাট সহ-মহাব্যবস্থাপক নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, নাব্য সংকটে পড়ে প্রায় মাসখানেক ধরে পুরাতন চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকল্প চ্যানেল দিয়ে ঈদের আগে থেকে চলছে ফেরি। বিকল্প চ্যানেলটি সরু হওয়ায় এবং হঠাৎ করে গেলো সাত দিন যাবৎ সে পথে পলি জমে নাব্য সংকট দেখা যায়। এর সঙ্গে স্রোত বেড়ে যাওযায় স্বাভাবিকভাবে ফেরি চলাচল করতে পারছেনা।

তিনি আরো জানান, ঝুঁকি এড়াতে কম সংখ্যক গাড়ি নিয়ে চলছে ফেরি। আর রাতে পুরোপুরি বন্ধ থাকে রো-রো ও টানা ফেরি। ফলে প্রতি রাতে চার-পাঁচটি ফেরিতে সার্ভিস চালু রাখার কারণে ঘাটে জমে যায় গাড়ি গুলো। তবে যাত্রীবাহি ও পঁচলশীল মালবাহী যানবাহনকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হয় বলে জানান তিনি।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে শিমুলিয়াঘাট পরির্দশন করেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর মাহবুব উল ইসলাম। তিনি সকালে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের বিকল্প চ্যানেলের ড্রেজিং পরির্দশন শেষে সাংবাদিকদের জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে পুরাতন চ্যানেলে পলি জমার কারণে ঈদের আগে বিকল্প চ্যানেল খুলে দেওয়া হয়েছে। পদ্মার প্রবল স্রোত নদীর আসে পাশের চর ও পাড় ভেঙ্গে পলিগুলো এসব চ্যানেলে চলে আসে। যার ফলে নাব্যতা দেখা দিচ্ছে। সকাল থেকে ৮টি ড্রেজারদ্বারা চ্যানেল ড্রেজিং চলছে। এটি চলমান প্রকৃয়ায় থাকবে। তিনি আরও বলেন, প্রায় তিন সপ্তাহের আগে চ্যানেলে পানি আসত পদ্মা নদী থেকে। এখন পানি চলে যাচ্ছে পদ্মা নদীর দিকে। আমাদের চ্যানেলের বাহিরে প্রায় ৩কিলোমিটারের একটি চর পরেছে। এ চর পরায় নির্ভর করে এখন স্রোত কোন দিকে যাবে। বর্তমানে স্রোত বেশি থাকায় বিশেষ করে বিকল্প এবং চায়না চ্যানেলে যে জায়গায় মিলিত হয়েছে। সে জায়গায় চাপ বেশি থাকাতে ফেরিগুলো অনেক সময় চরে আটকে যাচ্ছে। আশা করছি পদ্মায় স্রোত কমে গেলে সকল ফেরিগুলো পুরো লোড নিয়ে পারাপারের সক্ষম হবে। যেভাবেই হোক আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে চ্যানেল খোলা রাখা।

এসময় তার সাথে পরির্দশনে ছিলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র সদস্য (প্রকৌশল) গোলাম মোস্তফা, প্রধান প্রকৌশলী ড্রেজিং বিভাগ আব্দুল মতিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. ছাইদুর রহমান, মো. আতহার আলী, শিমুলিয়াঘাটের উপ-পরিচালক এসএম আজগর আলী প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads