• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
মেট্রোরেলের ট্রায়াল রান ২০২০ সালে

সংগৃহীত ছবি

যোগাযোগ

ট্র্যাক বসছে অক্টোবরে

মেট্রোরেলের ট্রায়াল রান ২০২০ সালে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছর ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মেট্রোরেল চালু হওয়ার কথা। এ লক্ষ্যে প্রকল্পটির কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। রাজধানীর আগারগাঁও থেকে মিরপুর হয়ে উত্তরার দিকে এখন দৃশ্যমান ছাইরঙের খুঁটির ওপর মেট্রোরেল রুট ভায়াডাক্ট। এই ভায়াডাক্টের ওপরেই বসবে রেললাইন বা রেলট্র্যাক। এরই মধ্যে মতিঝিল-উত্তরা রুটের জন্য ৮০ ভাগ রেলট্র্যাক এসে গেছে। আগামী মাসেই মেট্রোরেলে ট্র্যাক বসানো শুরু হবে। একই সঙ্গে বসানো হবে ইলেকট্রিক লাইনও। উত্তরা-আগারগাঁও অংশে মেশিনের মাধ্যমে এগুলো বসাতে তিন থেকে চার মাস সময় লাগবে বলে জানা গেছে। 

মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৪৫ ভাগ। আর পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ২৪ ভাগ। আগামী বছর জুনে যখন পূর্ণাঙ্গ মেট্রো ট্রেন সেট আসবে তখনই ট্রায়াল রান শুরু হবে। তবে যাত্রী পরিবহন করা হবে উদ্বোধনের পর। সবকিছু ঠিক থাকলে ঢাকাবাসী আগামী বছরের জুনের পর উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে ট্রায়াল রানের মেট্রো ট্রেন চলতে দেখবে।’ 

এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ‘আমাদের এখানে পৃথিবীর সর্বশেষ প্রযুক্তির কোচগুলো আনা হচ্ছে। যখন এগুলো চলতে শুরু করবে তখন তা অন্যান্য দেশের চেয়ে উন্নতর ও আধুনিক হবে। আর দেশের প্রথম মেট্রোরেল (উত্তরা-মতিঝিল) হবে সম্পূর্ণ এলিভেটেড ও বিদ্যুৎচালিত।’ 

এরই মধ্যে উত্তরা-আগারগাঁও অংশে স্টেশন নির্মাণের কাজ প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে জানান এম এ এন ছিদ্দিক। প্রকল্পের তথ্যানুযায়ী উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মোট ১৬টি স্টেশন থাকবে। উত্তরার দিয়াবাড়িতে হবে মেট্রোরেলের প্রথম স্টেশন। প্রথম স্টেশনের নাম হবে উত্তরা নর্থ; পরের স্টেশনগুলো হলো-উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সচিবালয় ও মতিঝিল। 

আগামী বছরের জুনে দেশে মেট্রোরেলের প্রথম পরিপূর্ণ ট্রেন সেট আসবে বলে জানা গেছে। এভাবে ওই সময় থেকে পরবর্তী দুই মাসের মধ্যে ২৪টি ট্রেন সেট আসবে। একেকটি সেটে ৬টি করে কোচ থাকবে। এই রেলের ট্রেনগুলো উভয়দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী টানবে। মেট্রোরেলে প্রতিটি স্টেশন হবে তিনতলা। সিঁড়ি বেয়ে প্রথমে উঠতে হবে দ্বিতীয় তলায়। সেখানে টিকেট কাউন্টার ও অন্যান্য সুবিধাদি থাকবে। আর ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম থাকবে তৃতীয় তলায়। ট্রেনে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৪০ মিনিটের কম। মেট্রোরেলে ‘প্রিপেইড কার্ড’ দিয়ে ট্রেনের ভাড়া পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। আবার টিকিট কেটেও থাকবে ভ্রমণের সুযোগ।  

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়াম নামে একটি প্রতিষ্ঠান মেট্রোরেলের কোচগুলো সরবরাহ করবে। প্রতিষ্ঠানটিকে বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ লাল-সবুজের আদলে কোচ প্রস্তুতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির নির্ধারিত কারখানায় কোচগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। মেট্রোরেলের ট্র্যাক নির্মাণ শেষ হওয়ার পর তাতে তৈরি কোচগুলো বসিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। এরপর চলাচল শুরু করবে স্বপ্নের মেট্রোরেল। সূত্র জানায়, মেট্রোরেলের কোচগুলো হবে অত্যাধুনিক ও সময়োপযোগী। প্রতিটি কোচ হবে স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।  

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads