সরকারি রাস্তার কাজ করতে আমাদের টাকা দিতে হয় এমন কথা কোনদিন শুনি নাই। তারপরও আমাদের কষ্ট লাগবের জন্য এতগুলো টাকা দিলাম এখনও রাস্তার দেখা পেলামনা, এভাবেই কথা গুলো বললেন বগুড়ার শেরপুরের কুসুম্বি ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের দুধ ব্যবসায়ী সোলাইমান হোসেন। মালিহাটা থেকে বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ২কি: পাকা রাস্তা করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সাথে যোগসাজস করে বাঁশবাড়িয়া গ্রামের সেলিম, নজরুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য হবিবর রহমান তিন গ্রামবাসীর নিকট থেকে প্রায় ১ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে। এখন তাদের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানারযায়, উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়রে বাঁশবারিয়া, উচুলবারিয়া. উদয়কুড়ি তিন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের শহরের আসার একমাত্র চলাচলের রাস্তা মালিহাটা থেকে বাঁশবাড়িয়া পর্যন্ত ২কি: রাস্তার বেহাল অবস্থা থাকায় দীর্ঘদিন থেকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কুসুম্বি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য হবিবর রহমান আটমাস পূর্বে শেরপুর উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সাথে কথা বলে গ্রামবাসীদের নিকট হতে ১ লক্ষ টাকা দাবী করে। গ্রামবাসিরা সামর্থ অনুযায়ী সকলের নিকট থেকে (২০ টাকা থেকে ১ হাজার) টাকা উত্তোলন করে মোট ৭০ হাজার টাকা উত্তোলন করে বাঁশবাড়িয়া গ্রামের সোলাইমানের ছেলে সেলিম, রতন হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম এর নিকট দেয়। তারা তিনজন মিলে ওই টাকা উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সাথে নিয়ে আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে।
বাঁশবাড়িয়া গ্রামের সেলিম ৭০ হাজার টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, রাস্তার কাজের জন্য আমরা টাকা উত্তোলন করিনি, তবে প্রকৌশলীকে চা, নাস্তা, পানি খাওয়ানোর জন্য টাকা উত্তোলন করেছি। ১নং ওয়ার্ড সদস্য হবিবর রহমান জানান, গ্রামবাসীদের নিকট থেকে রাস্তার কাজের জন্য টাকা উত্তোলন করেছি এবং আমার নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা ভর্তুকি দিয়ে প্রকৌশলী অফিসে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী নুর মোহাম্মদ বলেন, কোন রাস্তার জন্য কে টাকা নিয়েছে তা আমি জানিনা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ বলেন, এমন কোন অভিযোগ পায়নি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।