• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
১০ ঘন্টা পর শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক

ছবি: বাংলাদেশের খবর

যোগাযোগ

১০ ঘন্টা পর শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক

  • লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৩ জানুয়ারি ২০২০

ঘন কুয়াশার কারণে দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রবেশপথ হিসেবে পরিচিত শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। টানা ১০ ঘন্টা ঘন কুয়াশার কারণে এ পথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কুয়াশার চাঁদরে আটকা পড়ে পদ্মা নদীর শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথ। পরে দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য রাত সাড়ে ১০টা থেকে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ১০ ঘন্টা পর কুয়াশা কেটে গেলে স্বাভাবিক হয় ফেরি চলাচল।

এতে শিমুলিয়াঘাটে প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন আটকা পরে। ফলে কনকনে শীতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে এ পথের যাত্রীদের।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টা থেকে কুয়াশার তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। কুয়াশার তীব্রতা ভয়াবহ আকার ধারণ করায় ফেরি চালকেরা মার্কিং পয়েন্ট ও বিকন বাতি দেখতে পাচ্ছিলেন না। এসময় দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরে আজ (গতকাল সোমবার) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। মাঝ পদ্মায় কোন ফেরি আটকা না পড়লেও দুই ঘাটে লোড করে ৮টি ফেরি নোঙর করে রাখা হয়। এসময় রো-রো ফেরি ২টি, কে-টাইপ ফেরি ৫টি ও ক্যামিলিয়া ১টি ফেরি দু’পাড়ে নোঙরে ছিল।

শিমুলিয়াঘাট (মাওয়া) ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) হিলাল উদ্দিন জানান, আকস্মিক ফেরি বন্ধ হওয়ায় ঘাটে যানবাহনের জটলা বেঁধে যায়। ট্রাক, প্রাইভেট কার, অ্যাম্বুলেন্স, কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়ি, পণ্যবাহী যানবাহন ও নৈশ কোচসহ ছোটবড় সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় থাকে। সকালে চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে চাপ কমতে থাকে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads