• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
পীরগঞ্জে এগিয়ে চলছে ১৮টি সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ কাজ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

যোগাযোগ

পীরগঞ্জে এগিয়ে চলছে ১৮টি সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ কাজ

  • পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

রংপুরের পীরগঞ্জে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন নদী ও খালের উপরে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮টি সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলছে।

পীরগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, মানুষের চলাচলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে পল্লী এলাকায় বেশিরভাগ সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। সর্বনিম্ন ৮মিটার সর্বোচ্চ ১৮মিটার দৈর্ঘ্যে ও ৪.৫ মিটার প্রস্থে সেতু ও কালভার্টগুলোর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়। নির্মাণাধীন ব্রীজগুলো এ বছরের জুনে শেষ করতে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে।

চলমান নির্মাণাধীন সেতু ও কালভাট গুলো হচ্ছে- চতরা ইউনিয়নের কুমারপুরের ডাংগাপাড়া, সন্দলপুরের সুরানন্দপুর, মাটিয়ালপাড়ায় ও যাদবপুরের শমসের পাড়ার সড়কে। কাবিলপুর ইউনিয়নের আঁখিরা খালের উপর শ্রীরামপুরের জামদানি, আজমপুর বেড়িবাঁধ ও শ্রীরামপুরের জামদানি সড়কে। রায়পুর ইউনিয়নের বড় নিজামপুরের বড় ঘাটা ও আঁখিরা খালের উপর ধুলগাড়ি কুমারগাড়ী সড়কে, টুকুরিয়া ইউনিয়নের বিছনা ভিটাপাড়ার ও ভগবানপুরের সুজারকুটির নামাপাড়া সড়কে। শানেরহাট ইউনিয়নের পাহাড়পুরের দামোদরপুর ও দুবরাজপুর মন্ডলপাড়া শানেরহাটগামী সড়কে। চৈত্রকোল ইউনিয়নের অনন্তরামপুরের বাসুদেবপুরে ও শাল্টি পশ্চিমপাড়া সড়কে। বড় আলমপুর ইউনিয়নের ধর্মদাসপুরের সড়ক। পাঁচগাছি ইউনিয়নের পদ্দপুকুরের সড়কে। দুরামিঠিপুর ইউনিয়নের সৈইল ডুবরি বিলের সড়কে।
চৈত্রকোল,চতরা, কাবিলপুর ও শানেরহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান সবুজ, এনামুল হক শাহিন, রবিউল ইসলাম রবি ও মিজানুর রহমান মন্টু জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় নির্মিত সেতু- কালভার্টগুলো নির্মাণের ফলে মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হয়েছে। ইউনিয়ন গুলোর প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ মানুষের যাতায়াত সহজ হয়েছে।

পীরগঞ্জ আসনের এমপি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মুঠোফোনে জানান, সেতু নির্মাণে কাজের গুণগত মান খুবই ভালো, এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়েছে। বিগত ২০১০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কয়েক অর্থবছরে ৮২টি সেতু ও কালভাটের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ১৮টি সেতু ও কালভার্ট নির্মাণাধীন রয়েছে। উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লীর যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে আরও সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads