• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
চালু হয়নি শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ীতে ফেরি চলাচল, ঘাটে আটকে পরা  শ্রমিক ও যাত্রীদের দূর্ভোগ চরমে

সংগৃহীত ছবি

যোগাযোগ

চালু হয়নি শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ীতে ফেরি চলাচল, ঘাটে আটকে পরা  শ্রমিক ও যাত্রীদের দূর্ভোগ চরমে

  • মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

এখনো চালু হয়নি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশ পথ শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী নৌ-রুটে ফেরি চলাচল।নাব্যতা সংকটের কারণে টানা ৮ দিন এ ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার পড়ে গেল মঙ্গলবার নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা ২ ঘন্টা ব্যাপী এ নৌ-রুটের ড্রেজিং কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে ঘোষণা দেন আপাতত ২৮ কিলোমিটার পথ পালের চরের চ্যানেল দিয়ে ফেরি চলাচল করবে।আর এ ঘোষণার পরে কেটাইপ ফেরি ক্যামিলিয়া শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে গিয়ে ৬ ঘন্টা পড়ে কাঁঠালবাড়ী পৌঁছায়। পরের দিন বুধবার বীর শ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নামের একটি রোরো ফেরি সকাল ৭টা কাঠালবাড়ী থেকে ছেড়ে এসে প্রায় ৯ ঘণ্টা পরে শিমুলিয়া ঘাটে আসে।এরপর থেকেই এ ঘাটে আর কোনো ফেরি চলেনি ।তবে ওই দিন নৌ-সচিব স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, আগামী দুদিনের মধ্যে লৌহজং টানিং পয়েন্টের চ্যানেলটি দিয়ে ফেরি চলাচল করতে পারবে ।কিন্তু সচিবের বেধে দেওয়া দুদিন পার হলেও এখনো পর্যন্ত ওই চ্যানেলে ড্রেজিং শেষ হয়নি।ফলে এখনো পর্যন্ত এ নৌ-রুটে ফেরি চলাচল শুরু করতে পারেনি বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহম্মেদকে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।অপরদিকে বিআইডব্লিউটিসির মেরিন অফিসার আহম্মদ আলীর কাছে ফেরী চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোরো ফেরী বীর শ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর বুধবার কাঠালবাড়ী ঘাট থেকে ছেড়ে এসে শিমুলিয়া ঘাটে আসে ৮ ঘন্টায়। এর পর থেকে আর কোন ফেরী চলেনি এ কথা বলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোনটি কেটে দেন।

সরেজমিনে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায় রোরো, কেটাইপ, ঠেলা ও ছোট ফেরিগুলো ঘাটে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে এবং ফেরির কর্মচারিরা অলস সময় কাটাচ্ছে ।তবে কখন নাগাদ ও কবে এ নৌ-রুটে পুনরায় ফেরী চলাচল করবে এর উত্তর জানা নেই কারো।ফেরী চালকরা জানিয়েছেন, পালের চরের চ্যানেল দিয়ে ফেরি চলানো সম্ভব নয়।

এদিকে ঘাটে আটকে পড়া পরিবহন চালক ও শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরেই ঘাট এলাকায় চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তি পোহাচ্ছে।ফেরি বন্ধ থাকায় মোটরসাইকেলসহ যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই ট্রলারে করে এ নৌ-রুট পাড়ি দিতে হচ্ছে। তবে লঞ্চ ও সি-বোট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে এ নৌ-রুটে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads