• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

অপরাধ

বর্ণবাদী পিতৃ পরিবার কর্তৃক কন্যাশিশু নিহত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২২ জানুয়ারি ২০১৮

 

পরিকল্পিতভাবে দেড় মাসের শিশু কন্যা আতিকা জান্নাতকে হত্যা করে চুরির নাটক সাজিয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসীকে বোকা বানাতে চেয়েছিল তার বাবা, দাদা ও দাদি। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত রবিবার দেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ঈশ্বরদীতে শিশুকন্যা চুরি নিয়ে রিপোর্টও প্রকাশিত হয়।

 

কিন্তু ঈশ্বরদী পুলিশের তৎপরতায় বের হয়েছে যে শিশুটি আদৌ চুরি হয়নি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার অপরাধ - সে ছিল কালো, অপরিপুষ্ট। শনিবার ‘চুরি হওয়া’ শিশুকে খুঁজে পেতে মাইকিং চলে। রাত ১১টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঈশ্বরদীর কলেজ রোড এলাকার অরনকোলায় অবস্থিত তাদেরই ঘরের আলমারি থেকে কাপড়ে জড়ানো অবস্থায় শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। এরপর এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় শিশুটির বাবা খান মো. আশরাফুল ইসলাম, দাদা মো. আইয়ুব আলী খান, দাদী সেলিনা খান ও শিশুটির বাবার মামী জোস্না খাতুনকে। গতকাল রবিবার ঈশ্বরদী থানা থেকে আসামিদের পাবনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হক ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিম উদ্দীন জানান, শিশুটির বাবা, দাদা ও দাদিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা অকপটে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। তারা জানান, শনিবার শিশু আতিকার মা নিশি খাতুন তার বড় মেয়েকে নিয়ে ছাদে ভেজা কাপড় নেড়ে দিতে ও রোদ পোহাতে গেলে এই ফাঁকে পরিকল্পনা অনুযায়ী শিশুটিকে গলা টিপে হত্যা করে তাকে একটি কাপড়ে জড়িয়ে ঘরের আলমারিতে লুকিয়ে রাখে দাদি। তারপর তিনি ও নিহত আতিকার দাদা হাসপাতালে যান। খবর দেন ছেলে আশরাফুলকে।

 

 

এর মধ্যে আতিকাকে পাওয়া যাচ্ছে না এই খবরে দুপুর ১২টার দিকে সবাই বাসায় ফিরে আসে এবং বাচ্চা চুরির জন্য প্রতিবেশীকে দায়ী করতে থাকে। চলতে থাকে হারিয়ে যাওয়া শিশুর খোঁজ। পুলিশের তত্পরতাও চলতে থাকে। ঘটনার এক পর্যায়ে পুলিশের ওই পরিবারটিকেই সন্দেহ হয়। বাড়িতে বসানো হয় সার্বক্ষণিক পুলিশ পাহারা। চলতে থাকে কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদ। এরই এক পর্যায়ে রাত ১০টার দিকে বাড়ির আলমারি থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads