• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

প্রতীকী ছবি

অপরাধ

বিচার বিলম্বিত হওয়ার শঙ্কা

বনানীর হোটেলে ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আদালত পরিবর্তন

  • আজাদ হোসেন সুমন
  • প্রকাশিত ০৯ মে ২০১৮

বনানীর দ্য রেইন ট্রি হোটেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার বিচারকাজ আগামীতে ঢাকার সাত নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হবে। আলোচিত এই মামলা চলছিল ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। সরকার সম্প্রতি গেজেট প্রকাশ করে রাজধানীর থানাগুলোর অধিক্ষেত্রে পরিবর্তন আনায় মামলাটিও স্থানান্তর হচ্ছে। তবে ওই ট্রাইব্যুনাল এখনো প্রস্তুত নয়। এ কারণে মামলার বিচারকাজ বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কায় আছে বাদীপক্ষ।

বছরের ২৮ মার্চ জন্মদিনের পার্টির কথা বলে বনানীর দ্য রেইন ট্রি হোটেলে ডেকে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। জানা গেছে, এ অভিযোগে তারা আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে আসামিরা ‘প্রভাবশালী হওয়ায়’ থানা পুলিশ তা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। এদিকে ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে আসামিদের পরিবার। ঘটনার ৪০ দিন পর বছরের ৬ মে সন্ধ্যায় বনানী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে পাঁচজনকে আসামি করে মামলাটি করেন ওই দুই ছাত্রীর একজন। আসামিদের মধ্যে দেহরক্ষী রহমত আলী ছাড়া সবাই ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলায় সাফাত আহমেদ, তার দুই বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম ও সাদমান সাকিফ কারাগারে রয়েছেন। সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত জামিনে আছেন।

আদালত সূত্র জানায়, মামলায় ১৩ জুলাই সাফাতসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এর আগে ৮ জুন মহানগর পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক ইসমত আরা এমি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগ গঠনের পর ৪৭ সাক্ষীর মধ্যে বাদীসহ ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১৭ মে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, চাঞ্চল্যকর এ মামলার বিচার দ্রুত শেষ হবে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। মামলায় বাদীসহ হোটেল কর্মচারীদের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। হোটেল কর্মচারীরা আদালতে বলেছেন যে, তারা (দুই ছাত্রী ও পাঁচ আসামি) হোটেলের গেস্ট ছিলেন। আসামিরাও আদালতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। বাদীর (ধর্ষণের শিকার দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন) সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। অপর ভিকটিমের পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা শেষ হলে তিনিও সাক্ষ্য দেবেন।

আইনজীবী ফারুক বলেন, ৫ এপ্রিল সরকার গেজেট প্রকাশ করে রাজধানীর থানাগুলোর অধিক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে। সে অনুসারে এ মামলার বিচার কার্যক্রম আগামীতে ঢাকার সাত নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে চলবে। তবে ওই ট্রাইব্যুনালের নির্ধারিত কোনো এজলাস নেই। এমনকি পাবলিক প্রসিকিউটর পর্যন্ত নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় মামলার পরবর্তী বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে কিছুটা হতাশ বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads