• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
ছিনতাই ও টানা পার্টির জোন  ফার্মগেট-কারওয়ান বাজার

ছিনতাই ও টানা পার্টির জোন ফার্মগেট-কারওয়ান বাজার

প্রতীকী ছবি

অপরাধ

ছিনতাই ও টানা পার্টির জোন ফার্মগেট-কারওয়ান বাজার

  • আজাদ হোসেন সুমন
  • প্রকাশিত ২০ মে ২০১৮

রাজধানীর ফার্মগেট থেকে কারওয়ান বাজার সোনারগাঁও সিগন্যাল এলাকায় প্রতিদিনই ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। পাশাপাশি টানা পার্টির দৌরাত্ম্য তো রয়েছেই। ২০-২৫ জনের একটি দল প্রতিদিন এই অপকর্মে লিপ্ত হলেও রয়ে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে।

প্রতিদিন ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেটে বাসে ওঠার মুহূর্তে টানা পার্টির সদস্যরা মহিলাদের ব্যাগ, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান সামগ্রী টেনে নিয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় সিএনজি অটোরিকশায় থাকা যাত্রীদের মোবাইল ফোন নিয়ে যাচ্ছে অভিনব কায়দায়। অটোরিকশার ছাদের প্লাস্টিক কেটে মুহূর্তেই ছোঁ মেরে মোবাইল ফোন নেওয়ার দৃশ্য সবার জানা। ছিনতাই এড়াতে সিএনজি অটোরিকশায় গ্রিল সিস্টেম চালু হলেও কমেনি ছিনতাই। কারওয়ান বাজার থেকে ফার্মগেট এলাকার রাস্তার দুইপাশেই ওঁৎ পেতে থাকে টানা পার্টির সদস্যরা। ভিড় বাড়লেই শুরু হয় এদের কার্যক্রম।

বিভিন্ন সময় বেশ কয়েকজন ছিনতাইকারী ও টানা পার্টির সদস্যকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও জামিনে বেরিয়ে আবারো একই কাজ করছে তারা। কারওয়ান বাজার এলাকার গাড়িচোরচক্রের সদস্য আল হাদিস ওরফে মামুন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেল খাটার পর গাড়ি চুরি ছেড়ে দিয়েছে। তবে ছিনতাই আর টানা পার্টির কাজ শুরু করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মামুন গত বছরের মে মাসে গ্রেফতার হয়। স্থানীয়রা জানান, মামুন ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। পরে গাড়ি চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা প্রকাশ পেলে তাকে বহিষ্কার করা হয়। বর্তমানে সে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।

মামুন ছাড়াও এ এলাকায় চিহ্নিত ২০ ছিনতাইকারী রয়েছে। এরা চাতক পাখির মতো চোখ রাখে। কোনো বাসযাত্রীকে জানালার পাশে বসে কথা বলতে দেখলেই সুযোগমতো ছোঁ মেরে মুহূর্তেই হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। কোনো পথচারী কথা বলতে বলতে ফুটপাথ দিয়ে হেঁটে গেলে কিংবা মোটরসাইকেলে পেছনের আরোহীকে মোবাইলে কথা বলতে দেখলেও এরা মোবাইল কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ‘ওয়েলট্রেইন্ড’ দায়িত্বরত পুলিশকেও এরা পাত্তা দেয় না। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশের সামনেই ছিনতাইয়ে লিপ্ত হয়। ছিনতাইকারী চক্রের এসব সদস্য লক্ষ্য ঠিক করার পর ছিনতাই শেষে পালিয়ে যেতে সর্বোচ্চ দুই মিনিট সময় নেয়। ভুক্তভোগী কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা মিলিয়ে যায় মানুষের ভিড়ে।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘রোজায় ওরা সুবিধা করতে পারবে না। পুলিশের স্পেশাল টিম ছিনতাই রোধে মাঠে নেমেছে। গোয়েন্দারাও ছদ্মবেশে মলম পার্টি, টানা পার্টি ও ছিনতাই রোধে কাজ করছে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads