• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
পুলিশের ভেতরে এবার মাদকবিরোধী অভিযান

পুলিশের ভেতরেই শুরু হচ্ছে মাদকবিরোধী শুদ্ধি অভিযান

প্রতীকী ছবি

অপরাধ

পুলিশের ভেতরে এবার মাদকবিরোধী অভিযান

  • আজাদ হোসেন সুমন
  • প্রকাশিত ১২ জুন ২০১৮

এবার খোদ পুলিশের ভেতরেই শুরু হচ্ছে মাদকবিরোধী শুদ্ধি অভিযান। তবে ঘটা করে নয়, গোপনে পরিচালিত হতে যাচ্ছে এই অভিযান। এতে পুলিশের মধ্যে যারা মাদক ব্যবসায় মদত দেয়, মাদক সেবন করে, তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে সারা দেশে শতাধিক পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিতও করেছে পুলিশ সদর দফতরের ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তার মাদকের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ধরন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত অর্থাৎ যারা মাদক ব্যবসা থেকে মাসোহারা নেয়, মাদক ব্যবসায় মদত দেয় ও মাদক সেবন করে- এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে চাকরিচ্যুতি ও গ্রেফতারের মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যারা পরোক্ষভাবে যুক্ত তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হবে, দেওয়া হবে বিভাগীয় মামলা ও লঘুদণ্ড।

এ ব্যাপারে গতকাল পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স) মনিরুজ্জামান বাংলাদেশের খবরকে বলেন, যাদের ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শুদ্ধি অভিযান শুরুর আগে পুলিশের ইন্টেলিজেন্স টিম আরো খতিয়ে দেখছে। কারণ অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে ভাসা ভাসা। টিম তাদের অবস্থান এবং তারা কীভাবে ও কতদিন ধরে যুক্ত সেসব খতিয়ে দেখছে। এই টিমের রিপোর্টের ভিত্তিতে মাদকে যুক্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাদক প্রশ্নে পুলিশপ্রধান (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর অবস্থান পরিষ্কার জানিয়ে তিনি বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর আগে আইজিপি মহোদয় দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক দিনের মাথায় পুলিশ সদর দফতরে এক বৈঠকে মাদকের বিরুদ্ধে নিজের কঠোর অবস্থানের কথা জানান।

সূত্র জানায়, ইন্টেলিজেন্স টিম সারা দেশে মাদক সম্পর্কে পুলিশের অবস্থান নিয়ে কাজ করছে। শুধু নেতিবাচক কর্মকাণ্ড নয়, পুলিশের কোনো সদস্য মাদক নির্মূলে অগ্রণী ভূমিকা নিলে এই টিমের সুপারিশের ভিত্তিতে তাকে পুরস্কৃত করবে সদর দফতর। সূত্রমতে, যাদেরকে মাদকে যুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে প্রায় সবাই কনস্টেবল থেকে সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার। দু-চারজন ইন্সপেক্টর ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাও আছেন তালিকায়।

সূত্র আরো জানায়, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘কঠোর পরিস্থিতির’ মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন মাদকে যুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেবে না সদর দফতর। কোনো মন্ত্রী বা ক্ষমতাসীন দলের নেতা যদি অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে তদবির করেন- তাও অগ্রাহ্য করার নির্দেশনা দিয়েছেন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে এআইজি মিডিয়া সোহেলী ফেরদৌস বাংলাদেশের খবরকে বলেন, আর বরদাশত করা হবে না। আইজিপির নির্দেশনা হচ্ছে মাদকের প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়। মাদকে যুক্ত কোনো পুলিশ কর্মকর্তার খুঁটির জোর থাকলেও কোনো ফায়দা হবে না। কারণ কোনো রাঘববোয়াল এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করার চেষ্টা করলে তাকেও কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি।

রিলেটেড সংবাদ:

  1. মাদকবিরোধী অভিযান

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads